ফাইল : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, ছবি - আইএএনএস
কখনও তাঁর নিশানা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কখনও তাঁর নিশানা রাজ্যের অন্য মন্ত্রীরা। তবে নিশানার মূল লক্ষ্য যে মুখ্যমন্ত্রী, মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা। রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার সংঘাত সেই যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘেরাও বাবুল সুপ্রিয়কে ছাড়ানো দিয়ে শুরু হয়েছিল তা এখন আরও বেড়েছে বই তো কমেনি। ফলে রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার সংঘাতের কাহিনি এখন সংবাদের শিরোনামের প্রায় প্রাত্যহিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন হল বৃহস্পতিবার। এদিন ভোরে রবীন্দ্র সরোবরে প্রাতঃভ্রমণ করতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সস্ত্রীক রাজ্যপাল সেখানে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি তোলেন। রবীন্দ্র সরোবরে ঘোরেনও। অনেকেই তাঁকে দেখে এগিয়ে আসনে। হাসিমুখেই সকলের সঙ্গে বার্তালাপ সারেন রাজ্যপাল।
রবীন্দ্র সরোবরে রাজ্যপালকে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরতে তিনি কিন্তু তোপ দাগেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, তিনি এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের মধ্যে যা কথা বলার বলবেন। কিন্তু এখন রাজ্যের মন্ত্রীরাও তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন। তাঁর পরামর্শ মন্ত্রীরা তাঁদের দফতরের কাজ করলেই ভাল। তাঁর যা কথা বলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হবে। আর যদি রাজ্য সরকার মনেই করে যে তাঁর বিরুদ্ধে মন্ত্রীরা কথা বলবেন তাহলে বরং তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য একজন আলাদা মন্ত্রী করে দিন। তাতে বাকি মন্ত্রীরা অন্তত কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এদিন আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক ছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, রাজভবন থেকে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত আসতে গিয়ে যা নজরে পড়েছে তাতে কলকাতার মেয়রের উচিত গাড়ির কাচ নামিয়ে চলা। স্বচ্ছ ভারতের প্রসঙ্গ টেনে একথা বলেন রাজ্যপাল। যদিও এর উত্তর দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি পাল্টা বলেন, রাজ্যপাল অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন। যা দেখেছেন, তাই শিখেছেন। এখানে তিনি রাস্তায় নেমেই কাজ করেন। সংবাদমাধ্যমকে মেয়রের অনুরোধ তিনি যে কাজকর্ম করেন তার ভিডিও রাজ্যপালকে যেন তাঁরা দেখিয়ে দেন।