উত্তর মিলল, সবুজ মমির রহস্যভেদ হল ৩৮ বছর পর
একটি বছর ১২-র কিশোরের দেহ মাটির তলা থেকে উদ্ধার করার পর দেখা যায় তাতে সবুজ রং। সবুজ রংয়ের মমির সেই রহস্য ৩৮ বছর পর সমাধান হল।
১৯৮৭ সাল। সে সময় ইতালির বোলোগ্না শহরের একটি অট্টালিকার বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় একটি তামার তৈরি কফিন। যার মধ্যে থেকে পাওয়া যায় বছর ১২-এর এক কিশোরের দেহাবশেষ।
চামড়া থেকে হাড় সবই পাওয়া যায়। পাওয়া যায়নি কেবল ২ পায়ের পাতা। মাংস নেই। কেবল হাড় আর চামড়া। তবে দেহের পুরোটাই পাওয়া যায়। এমন অনেক পাওয়া গেছে। কিন্তু এই দেহটি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেয়।
কারণ একটাই। এর সবুজ রং। হাড়ে সবুজ রং, চামড়ায় সবুজ রং। সবুজ রং আবার বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন রকম। কোথাও হালকা তো কোথাও গাঢ়। কিন্তু কেন সবুজ রং? এ প্রশ্নের উত্তর তখন পাওয়া যায়নি।
এমনকি তাকে ওই তামার কফিনে ঢোকানোর আগেই সবুজ কিছু মাখিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিনা তাও পরিস্কার ছিলনা। নাকি তার কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল? না, সেটাও জানা যায়নি। তারপর থেকে ৩৮ বছর ধরে এই সবুজ মমি এক রহস্য হয়েই থেকে গিয়েছিল। অবশেষে বিজ্ঞানীরা এই সবুজের সমাধান করে ফেললেন।
রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ভাল করে খতিয়ে দেখার পর জানান, এই সবুজ রংয়ের আসল রহস্য লুকিয়ে আছে ওই তামার কফিনে। তামার কফিনে রাখা হয়েছিল যাতে দেহটি দীর্ঘসময় ভাল থাকে।
কিন্তু তা করতে গিয়ে যেটা হয় যে ওই বালকের দেহ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে নির্গত অ্যাসিড তামার সঙ্গে বিক্রিয়া করে একধরনের ক্ষয় তৈরি করে। যা আবার ওই বালকের দেহের হাড়ের রাসায়নিক যৌগের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সবুজ রং তৈরি করে।
হাড়ের ক্যালসিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া হয়। হাড়গুলি দেখা গিয়েছে অনেকটা সবুজ। তুলনায় চামড়ার সবুজ রং ফিকে। এই খবরটি বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।













