ইতালির বুরানো শহর, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @Trey Ratcliff
এখানে গেলে চোখের পলক ফেলতে ইচ্ছে করেনা। অন্তত এখানে প্রবেশের পর তো নয়ই। কারণ এ শহরে সারাবছর রামধনু বিরাজ করে। অবশ্য আকাশে নয়, মাটিতে।
এ শহরের বাড়িগুলোর দিকে চাইলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে রামধনু। কারণ এ এমন এক শহর যেখানে বাড়িগুলি এক রকম আকারের এবং বিভিন্ন রংয়ের। একটি রংয়ের সঙ্গে পাশের বাড়ির রং মিলবে না। প্রতিটি রংই বেশ কড়া রং।
লাল, হলুদ, কমলা, সবুজ, খয়েরি, সাদা, পেঁয়াজি, বাদামি এবং এমন আরও নানা রংয়ের বাড়িগুলির দিকে তাকালে ২টো জিনিস মনে পড়ে। বাস্তব নয়, এ বোধহয় কোনও রূপকথার শহর। আর চোখের সামনে ভেসে ওঠে আকাশের বুকে ক্ষণিকের জন্য ভেসে ওঠা রামধনুর রংয়ের বাহার।
এ শহরে বাড়ি রং করতে গেলেও শহর প্রশাসনের ছাড়পত্র লাগে। কারণ তারাই স্থির করে দেয় ওই বাড়িতে কোন কোন রং করা যেতে পারে। তারমধ্যেই বেছে নিতে হবে পছন্দের রং। নিজের পছন্দে বাড়ি রং করা যাবেনা।
এ শহরের আরও একটি নিয়ম হল মোটামুটি ২ বছর পর পরই এ শহরের বাড়িগুলিতে নতুন করে রং করা হয়। কিন্তু কেন এই রংয়ের বাহার? স্থানীয়রা বলেন, এ শহর আসলে মৎস্যজীবীদের শহর। এখানে অনেক বাড়ির বাসিন্দাই যখন জলে মাছ ধরতে যেতেন, তখন জলে নৌকা নিয়ে ভাসতে ভাসতে যাতে তাঁদের শহরটা অত দূর থেকেও সহজে দেখতে পান, তাই এমন রং বাহার।
এ শহরের আরও এক আকর্ষণ হল জল। জলের ওপর ভেসেই এ শহরে যাতায়াত। জল শুনে মনে হতেই পারে তবে কি ভেনিস? না একেবারেই ভেনিস নয়। তবে ভেনিস থেকে দূরেও নয়।
ভেনিস থেকে মিনিট ৪৫-এর পথ পার করলেই একটি শহর রয়েছে। যার নাম বুরানো। এই বুরানো শহর আবার ৪টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। প্রতিটি দ্বীপ সেতু দিয়ে জোড়া। ইতালির এই বুরানো শহরকেই বলা হয় রামধনুর শহর। এ শহরের বাড়িগুলির এই রংয়ের বাহার দেখতে বহু মানুষ ছুটে আসেন এখানে।