সেলফি তুলতে গিয়ে ৩০০ বছর পুরনো অমূল্য ছবি ছিঁড়ে ফেললেন এক ব্যক্তি
শুধুমাত্র ভারত বলেই নয়, সেলফির নেশায় বুঁদ এখন গোটা বিশ্ব। সেজন্য অনেক সময় তাঁদের প্রাণও যায়। আবার অনেক সময় অমূল্য সম্পদ নষ্ট হতে বসে।

সেলফি তোলা একটা নেশা হয়ে উঠেছে। সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার প্রবণতা এখন বিশ্বের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। সেলফি তোলার নেশায় এমন সব ঝুঁকি নেন অনেকে যে তাতে তাঁদের প্রাণহানিও ঘটে। এছাড়াও অনেক ক্ষতি হয়।
এবার তো একটি ঐতিহাসিক পেন্টিংই নষ্ট হয়ে গেল সেলফির নেশায়। ১৭১২ সালে আঁকা সেই পেন্টিং এখন এক অমূল্য সম্পদ। যার গুরুত্ব অপরিসীম। সেই পেন্টিংটি একটি প্রদর্শনীতে টাঙানো ছিল দেখার জন্য। শিল্পমোদী মানুষজন হাজির হচ্ছিলেন সেই প্রদর্শনী দেখতে।
সেখানে আসা এক ব্যক্তি এই পেন্টিংটির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। সেলফি তোলার জন্য তিনি ছবিটিকে পিছনে রেখে নিজে শরীরটাকে পিছনে হেলিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে পেন্টিং সহ তাঁর ছবিটা ভাল আসে।
আর সেটা করতে গিয়ে তিনি এতটাই পিছনের দিকে হেলে যান যে টাল সামলাতে না পেরে উল্টে যান বিখ্যাত চিত্রকর অ্যান্টন ডোমেনিকো গাব্বিয়ানি-র আঁকা টাসকান রাজপুত্র মেডিচি-র ছবিটির ওপর।
১৭১২ সালে আঁকা ৩০০ বছরের বেশি পুরনো ক্যানভাস তাঁর শরীরের ভার সহ্য করতে পারেনি। কিছুটা ছিঁড়ে যায় ক্যানভাস। বড় ক্ষতি হয় ঐতিহাসিক চিত্রটির।
সেলফির নেশায় এক ঐতিহাসিক ও অমূল্য সম্পদের এভাবে ক্ষতি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতালির ফ্লোরেন্সের উফিজি গ্যালারিতে এই প্রদর্শনীটি চলছিল। এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ দর্শকদের জন্য আরও কড়াকড়ির কথা ভাবতে শুরু করেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি-তে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।