শৃঙ্খলবদ্ধ কঙ্কাল, ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক – @AntiquitiesEN
১৫০০ বছর আগের কথা। সে সময়ে কবর দেওয়া অনেক পুরুষ, নারী ও শিশুর কঙ্কালের খোঁজ মিলেছে জেরুজালেমের কাছেই। এদের মধ্যে একটি কবর খুঁড়ে এমন একটি কঙ্কাল পাওয়া যায় যার সারা শরীর মোটা শিকল দিয়ে মোড়া ছিল।
প্রাথমিকভাবে এটা দেখলে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই শিকল স্বেচ্ছায় পরা হত সে সময়। বাইজেন্টাইন যুগে এই অঞ্চলে একটি রীতি প্রচলিত ছিল। যা একটি ধারনার ওপর দাঁড়িয়ে ছিল।
পুরুষ সাধকরা মনে করতেন ইহলৌকিক আনন্দকে যতটা দূরে রাখা যাবে, নিজেকে যতটা কষ্টের মধ্যে রেখে সাধনা করা যাবে, ততই পারলৌকিক সুখ বৃদ্ধি পাবে। ইহলৌকিক সুখের চেয়ে অনেক বড় সুখ তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে।
তার জন্য তাঁদের ইহলোকের সামান্য সুখ স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করতে হবে। তাই তাঁরা নিজেদের শিকলে মুড়ে নিতেন। সেই ধারনা মাথায় রেখে গবেষকেরা ওই কবর খোঁড়ার পর কঙ্কালটি শিকলে মোড়া অবস্থায় দেখে তা কোনও পুরুষের দেহ বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান। কিন্তু পরে সেটি ভাল করে পরীক্ষার পর এখন তাঁরা জানাচ্ছেন তাঁদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল ছিল।
ওই কঙ্কাল আদপে এক মহিলার। কোনও পুরুষের নয়। আর সেই মহিলাকে যে জোর করে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছিল তেমনটাও নয়। ওই মহিলাও পুরুষদের মতই পঞ্চম শতাব্দীতে নিজেকে শিকলে বেঁধে রেখেছিলেন।
হয়তো তাঁরও উদ্দেশ্য এটাই ছিল যে ইহলৌকিক সুখ পরিত্যাগ করে পারলৌকিক ও ঐশ্বরিক সুখ লাভের পথে এগিয়ে যাওয়া। তবে এটা এখন পরিস্কার যে ১৫০০ বছর আগের ইজরায়েলে পাওয়া ওই শিকল বন্দি কঙ্কাল কোনও পুরুষের নয়, বরং একজন মহিলার।