ভেঙে যাওয়া জার, ছবি – সৌজন্যে – হেট মিউজিয়াম
মিউজিয়ামে অনেকেই তো বেড়াতে যান। অবাক চোখে চেয়ে দেখেন বহু বহু বছর পুরনো জিনিসপত্র। চোখের সামনে প্রাচীন সেসব জিনিস দেখতে পাওয়া একটা বড় পাওনা। এগুলো দেখতে অনেক ছোটরাও ভিড় জমায় অভিভাবকদের হাত ধরে।
এই ৪ বছরের শিশুটিও এসেছিল তার বাবা মায়ের হাত ধরে মিউজিয়াম দেখতে। হেট মিউজিয়ামে একটি প্রথা বহুদিন ধরে চলে আসছে। এখানে অনেক প্রত্ন নিদর্শনই রাখা থাকে খোলা অবস্থায়।
মানে তা কোনও কাচের ঘেরাটোপে বা কোনও হাত পৌঁছবে না এমন জায়গায় রাখা থাকেনা। যাতে মানুষ ও সেই প্রত্ন নিদর্শনটির মাঝে কিছু না থাকে। যাতে তা অনেক সামনে থেকে ভাল করে দেখতে পান অতিথিরা।
সেভাবেই একটি স্ট্যান্ডে বসানো ছিল কমপক্ষে সাড়ে ৩ হাজার বছর পুরনো ব্রোঞ্জ যুগের একটি কলস। যে কলসে করে সাড়ে ৩ হাজার বছর আগে অলিভ তেল বা সুরা নিয়ে যাওয়া হত। এটি তৈরি হয়েছিল তৎকালীন ক্যানন অঞ্চলে। যে ভূভাগ এখন ইজরায়েল নামে পরিচিত।
৪ বছরের শিশুটি ওই কলসের কাছে এগিয়ে গিয়ে তার ভিতরে কি আছে দেখার কৌতূহল সামলাতে পারেনি। শিশু মনের জিজ্ঞাসা নিয়ে সে আলতো টান দেয় সেই কলসে। আর তাতেই উল্টে মেঝেতে পড়ে যায় সেটি।
পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি ভেঙে টুকরো হয়ে যায়। মিউজিয়ামের তরফে জানানো হয় কলসটির প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অপরিসীম। তবে ওই শিশু ইচ্ছা করে কিছুই করেনি। তাই তারা বিষয়টিতে ওই শিশুর পরিবারের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং শিশুটিকে নিয়ে ফের মিউজিয়ামে আসার অনুরোধ করেছে ওই পরিবারকে। ঘটনাটি ঘটেছে ইজরায়েলের হেট মিউজিয়ামে।