ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
গত ৩০ মে কলকাতা থেকে ভিস্তারা বিমানে দিল্লি রওনা দেন দিল্লির বাসিন্দা সাক্ষী লোহানি। দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর তিনি মালপত্র নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েও আসেন। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান।
এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। সমস্যা হল পরদিন অর্থাৎ ১ জুন। ১ জুন সাক্ষী লোহানির নজরে পড়ে তাঁর হাতে থাকে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের হিরের ব্রেসলেটটি নেই। মাথায় প্রায় বাজ ভেঙে পড়ে। গেল কোথাও ব্রেসলেট?
তবে কি কেউ চুরি করে নিল? তিনি সময় নষ্ট না করে দ্রুত ছোটেন দিল্লি বিমানবন্দর থানায়। সেখানে ব্রেসলেট হারানোর অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে আবেদন জানান তাঁরা যেন তাঁর ওই বহুমূল্য ব্রেসলেটটি খুঁজে দেন।
পুলিশ খোঁজও শুরু করে। শুরু হয় সিসিটিভি খতিয়ে দেখার কাজ। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে গিয়েই পুলিশের নজর আটকে যায় বিমানবন্দরের কনভেয়ার বেল্টে।
কনভেয়ার বেল্টেই যাত্রীদের মালপত্র ঘুরতে থাকে। সেখান থেকে নিজের বাক্স বা ব্যাগ তুলে নেন যাত্রী। পুলিশ লক্ষ করে কনভেয়ার বেল্ট থেকে নিজের ব্যাগ তোলার সময় সাক্ষী লোহানির হাত থেকে কিছু একটা সেখানে পড়ে যায়।
পুলিশ দ্রুত কনভেয়ার বেল্টের সামনে হাজির হয়। তারপর সেখানেই একটি খাঁজ থেকে উদ্ধার হয় হিরের ব্রেসলেটটি। এত দামি একটি গয়না যে একটা গোটা দিন ওখানে সকলের নজরের সামনে পড়ে রইল এবং তা নেওয়ার চেষ্টা হল না তা দেখে অবাক পুলিশও। পরে ওই ব্রেসলেট সাক্ষী লোহানিকে ফেরত দেওয়া হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা