World

তালগাছের মত লম্বা সূর্যমুখী ফুলের গাছ, মগডাল থেকে ফুল পাড়তে আনা হল মই

তালগাছের মত লম্বা সূর্যমুখী ফুলের গাছ। শুনে অনেকের অলীক মনে হতে পারে। কিন্তু সেটাই ঘটেছে। একটা সূর্যমুখী ফুল ফুটেছে ৩৬ ফুট উঁচু গাছে।

সূর্যমুখী ফুলের বাগান অনেকেই দেখেছেন। চোখে না দেখলেও অনেকে ছবি তো দেখেছেনই। মানুষের কোমর থেকে বুক পর্যন্ত উচ্চতার হয় গাছগুলি। তাতেই ফুটে থাকে সূর্যমুখী ফুল। হাত দিয়ে অনায়াসেই তা পেড়ে নেওয়া যায়।

কিন্তু এই সূর্যমুখী গাছটি গোটা বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। তবে গাছটির পিছনে রয়েছে একটি কাহিনি। ইউক্রেনের জাতীয় ফুল হল সূর্যমুখী। সেই ইউক্রেনেই বড় হয়ে ওঠেন অ্যালেক্স বাবিচ নামে এক ব্যক্তি।

তাঁর যখন ১৪ বছর বয়স তখন তিনি ইউক্রেন থেকে চলে আসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাতে। সেখানেই থাকেন তিনি। রয়েছে একটি বাগান। সেখানে তিনি একটা সময়ের পর তাঁর দেশকে ভালবেসে সূর্যমুখী ফুলের গাছ লাগান।

সূর্যমুখী গাছ লাগান তাঁর দেশকে ভালবেসে ঠিকই, তবে তিনি সেই গাছ নিয়ে নানা গবেষণাও শুরু করে দেন। কীভাবে সূর্যমুখীর মত ছোট গাছকে অনেক লম্বা করা যায় তার নানা চেষ্টা চালু করেন তিনি।

Indiana
বিশ্বের উচ্চতম সূর্যমুখী গাছ, ছবি – সৌজন্যে – গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ডট কম

ফলে তাঁর বাগানে একটা সময় ১৩ ফুট উঁচু সূর্যমুখী ফুলের গাছ হয়। তাতে মগডালে ফুলও ধরে। এরপর অ্যালেক্স বাবিচ সূর্যমুখী গাছকে লম্বা করার পিছনে সময় দিতে থাকেন। তাতে ফলও পান।

ক্রমশ লম্বা হতে থাকে তাঁর বাগানের সূর্যমুখী গাছ। এভাবে নানা সময়ে তা বাড়তে বাড়তে এবার ৩৬ ফুট উঁচু সূর্যমুখী গাছের মগডালে ধরল ফুল। যা দেখতে ঘাড় ব্যথা করে। পাড়তে মই লাগে।

তাঁর দেশ ইউক্রেনে এত লম্বা সূর্যমুখী নেই। নেই অন্য কোথাও। আপাতত অ্যালেক্স বাবিচের এই সূর্যমুখী গাছটিই সবচেয়ে লম্বা সূর্যমুখী গাছ। যার মগডালে ফুল ধরেছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *