গর্বের মাইলফলক গড়ল ভারত, মহাকাশে আবার লিখল ঐতিহাসিক সাফল্য
যেমন কথা ছিল ঠিক তেমন ভাবেই মহাকাশে ইতিহাস লিখল ভারত। গর্বিত দেশবাসী। গর্বের মাইলফলক তৈরি হল। ইসরোর জন্য এ এক সোনায় লেখা দিন।
মহাকাশে নিজেদের পায়ের তলার মাটি অনেক আগেই শক্ত করে ফেলেছে ভারত। একের পর এক সাফল্যে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের একটি ভারত। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সাফল্যের কথা গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।
সেই ইসরো আবার এক গর্বের মাইলফলক তৈরি করল। ফলে মহাকাশ সাফল্যে চর্চায় উঠে এল ভারতের ইসরো। বুধবার মার্কিন অত্যন্ত ভারী একটি বাণিজ্যিক উপগ্রহ ব্লুবার্ডকে নিয়ে মহাকাশে উড়ে গেল ভারতের সবচেয়ে শক্তিধর এলএমভি৩ রকেট। এর আগেও উড়ে গেছে নীল পাখিরা। এবার তার ষষ্ঠ ভাগ।
এলভিএম৩ অর্থাৎ লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩। এটিই ভারতের গর্বের রকেট। যাতে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিল মার্কিন মুলুকের এএসটি স্পেসমোবাইল সংস্থার তৈরি যোগাযোগের কৃত্রিম উপগ্রহটি।
ব্লুবার্ড-এর ওজন সাড়ে ৬ টন। এই বিপুল ভারী একটি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পৌঁছে দিতে যে অতি শক্তিধর রকেট দরকার তা বলাই বাহুল্য। সেটাই হল ভারতের এলভিএম৩। যা এতটা ভারী একটি কৃত্রিম উপগ্রহকে সহজেই পৌঁছে দিতে পারে।
২৪ ডিসেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিল ব্লুবার্ড স্যাটেলাইট। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে এটি মহাকাশে পাড়ি দেয়।
১৫ মিনিট পাড়ি দেওয়ার পর মহাকাশে রকেট থেকে কৃত্রিম উপগ্রহটি আলাদা হয়ে যায়। পৌঁছে যায় তার নির্ধারিত কক্ষে। সেখানে সঠিকভাবেই প্রতিস্থাপিত হয় কৃত্রিম উপগ্রহটি। যা ৫২০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
আমেরিকা থেকে ব্লুবার্ড ব্লক-২ স্যাটেলাইটটি গত ১৯ অক্টোবরই ভারতে পৌঁছেছিল। সেটাই এবার পাড়ি দিল। ইসরোর জন্য লিখল সাফল্যের ইতিহাস।
ভারত যে এমন ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পৌঁছে দিতে সক্ষম সে খবর গোটা পৃথিবীর কাছে পৌঁছে গেছে। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি থেকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













