চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহে মানুষ থাকার ব্যবস্থা করতে ভারতে বিশেষ উদ্যোগ ইসরোর
আগামী দিনে মানুষ চাঁদে বা মঙ্গলগ্রহে থাকার কথা ভাবছে। সেই প্রস্তুতিতে শামিল হল ভারত। লাদাখে অভিনব উদ্যোগ নিল ইসরো। কিন্তু লাদাখই কেন সেটা বেশ আকর্ষণীয়।

পৃথিবীই শুধু নয়, মানুষ আগামী দিনে চাঁদে এবং মঙ্গলগ্রহে থাকার ব্যবস্থা করতে চাইছে। সেখানে জনবসতি গড়ে তুলতে চাইছে। তার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। মহাকাশ বিজ্ঞানে শক্তিশালী দেশগুলি এই প্রস্তুতির লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পরীক্ষা চালাচ্ছে।
সেই লক্ষ্যে এবার ভারত লাদাখে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল। লাদাখের টিসো কর উপত্যকাকে বেছে নিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কেন ওই জায়গাকেই বেছে নেওয়া সেই কারণও বেশ চমকপ্রদ।
হিমালয়ান আউটপোস্ট ফর প্ল্যানেটরি এক্সপ্লোরেশন বা হোপ নামে এই উদ্যোগে সেখানে ৮ মিটার লম্বা থাকার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ২ জন করে এই পরীক্ষায় শামিল হতে থাকবেন।
১০ দিন সেখানে থেকে থাকার অনুকূল পরিবেশ ও সুস্থভাবে থাকতে কি কি প্রয়োজন তা পরীক্ষা করে দেখবেন। এছাড়া ৫ মিটারের একটি ইউটিলিটি মডিউল তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি থাকবে।
এখন প্রশ্ন হল চাঁদে বা মঙ্গলে থাকার উদ্যোগ গ্রহণে অন্য সব জায়গা ছেড়ে লাদাখের একটি উপত্যকা বেছে নেওয়া হল কেন? লাদাখের টিসো কর উপত্যকার পরিবেশ তার অন্যতম কারণ।
বলা হয় এখানকার পরিবেশ অনেকটা মঙ্গলগ্রহের মত। এখানে রয়েছে উচ্চমাত্রায় অতিবেগুনী তেজস্ক্রিয়তা। বায়ুমণ্ডলের চাপ এখানে অনেক কম। এছাড়া মঙ্গলগ্রহের মত এখানে অসহ্য ঠান্ডা। আর এখানকার উপরিস্তরের নিচের মাটিতে রয়েছে লবণাক্ত ভাব।
এই সবকটি বিষয় চাঁদে বা মঙ্গলের মাটিতে মানুষের বেঁচে থাকার সুবিধা অসুবিধার জানান দেবে। চাঁদ বা মঙ্গলের অচেনা এবং কঠিন পরিবেশে যাতে মানুষ টিকে থাকতে পারেন সে ব্যবস্থা পাকা করতেই এমন উদ্যোগে শামিল হল ভারত।
১০ দিন ব্যাপী এই হোপ নামে উদ্যোগ আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে পরীক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।