ইসরোর স্পেডেক্স মিশন, ছবি – সৌজন্যে – ইসরো
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সূর্যযানকে উৎক্ষেপণ করে সাফল্যের সঙ্গে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে ইসরোর রকেট। ভারত থেকেই উড়ে গেছে যানটি। এই সাফল্য ভারতের ইসরো এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিকে অনেকটা কাছাকাছি এনে দিয়েছে।
ভারত যে এখন মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্বের অন্য কোনও দেশের চেয়ে পিছনে নয় তা তো আগেই প্রমাণ করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এবার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগও শুরু হয়েছে।
কিন্তু মহাকাশে তো যাব বললেই কাউকে পাঠানো যায়না। তার জন্য উপযুক্ত অনুশীলন, পরিকাঠামো, প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, কোনও মিশনকে সফল করতে বিস্তারিত গবেষণা ও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
এজন্য ইসরো ও ইএসএ একে অপরের সঙ্গে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করল। আগামী দিনে এই ২ প্রথমসারির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করবে। অ্যাক্সিওম-৪ মিশনকে দিয়েই এই পারস্পরিক সহযোগিতার পথচলা শুরু হচ্ছে।
ইসরোর কিন্তু মহাকাশে মানুষ পাঠানো হোক বা মহাকাশে নিজস্ব গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও রূপরেখা তৈরি আছে। যেমন ২০৩৫ সালের মধ্যেই মহাকাশে ভারত তার নিজস্ব গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করে ফেলার লক্ষ্যে ছুটছে।
সেক্ষেত্রে মহাকাশে নভশ্চরদের আনাগোনা বাড়বে। আর তাকে সর্বক্ষেত্রে সফল করে তুলতে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সঙ্গে এই গাঁটছড়া আগামী দিনে কার্যকরি ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা