কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে কৃত্রিম উপগ্রহ, প্রতীকী ছবি
মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারত জগত সভার শ্রেষ্ঠ আসন নিতে আরও একধাপ অগ্রসর হল। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র ২টি প্রকল্পে কেন্দ্র ছাড়পত্র দেওয়ার পর কার্যতই খুশি মহাকাশ চর্চার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।
ইসরোর ২টি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্রের কথা জানিয়েছেন ইসরো আমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই। যে ২টি প্রকল্পে কেন্দ্র ছাড়পত্র দিয়েছে তার একটি হল মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন। যার নাম হবে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন। যা মহাকাশে থাকবে।
ভারতীয় মহাকাশচারীরা সেখানে পৌঁছে একটা সময় পর্যন্ত থেকে প্রয়োজনীয় গবেষণার কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন তৈরি করে ফেলা হবে বলেই জানিয়েছেন নীলেশ দেশাই। ২০৪০ সালে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে চাঁদে ভারতীয় মহাকাশচারীর পদার্পণ এই অন্তরীক্ষ স্টেশনের হাত ধরেই হবে।
অন্য যে প্রকল্পটি ছাড়পত্র পেয়েছে তা হল শুক্রযান-১ মিশন। ভারত এবার শুক্রগ্রহের তথ্য সংগ্রহে পাড়ি দেবে। শুক্রগ্রহের কাছে পৌঁছে তাকে প্রদক্ষিণ করবে ভারতীয় যান। সংগ্রহ করবে নানা তথ্য। যা শুক্রগ্রহকে চিনতে সাহায্য করবে।
২০২৮ সালে এই শুক্রযান পাড়ি দেবে শুক্রগ্রহের উদ্দেশে। শুক্রকে প্রদক্ষিণ করা এই কৃত্রিম উপগ্রহটি সেখানে ঘুরে শুক্রগ্রহের নানা রহস্যের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবে।
পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হয় শুক্রকে। পৃথিবীর জন্ম যেভাবে, শুক্রের জন্মও একইভাবে হয়েছিল বলে মনে করা হায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা