State

সংরক্ষিত আসন নিয়ে ট্রেনে হাতাহাতি, যুবতীর শ্লীলতাহানি, যাত্রী বিক্ষোভ

Published by
News Desk

রাতে ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় ফের বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ল রেল। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। নির্ধারিত সময়ে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শুক্রবার যাত্রা শুরু করে আপ তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস। যাত্রাপথে ট্রেন গিয়ে থামে মালদহ স্টেশনে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন যাত্রী ওঠেন ট্রেনের এস ফোর কামরায়। যাদের মধ্যে ছিল জনা কয়েক যুবক। ট্রেনে উঠে কামরার ৭ নম্বর আসন গিয়ে বসে তারা। অভিযোগ, ওই আসনটি সংরক্ষিত ছিল মালদহ সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা জ্যোতির্ময় হালদারের নামে। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ মালদহের ভালুকা স্টেশন থেকে ওঠেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী নন্দিনী ঘোষ ও তাঁর বাবা। চাকরির পরীক্ষা দিতে যুবক ও তাঁর বান্ধবী শিলিগুড়ি যাচ্ছিলেন।

ট্রেনে উঠে জ্যোতির্ময় হালদার তাঁর সংরক্ষিত আসন থেকে ৪ যুবককে উঠে যাওয়ার অনুরোধ করেন। অজ্ঞাতপরিচয় যুবকরা ৭ নম্বর আসন গায়ের জোরে দখলে রাখার চেষ্টা করলে ২ পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, প্রতিবাদ জানানোয় ব্যাপক মারধর করা হয় জ্যোতির্ময় হালদারকে। বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে যুবকদের শ্লীলতাহানির শিকার হন তাঁর বান্ধবীও।

জ্যোতির্ময় হালদারের দাবি, বচসার সময় ট্রেনের বাইরে থেকে তাঁদের দিকে ইট ছোঁড়া শুরু করে ১৫-২০ জন দুষ্কৃতি। এতে জখম হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। ঘটনার প্রতিবাদে ট্রেনটি কুমেদপুর জংশনে পৌঁছলে আক্রান্ত যাত্রীরা রেল পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভের জেরে প্রায় আধঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে আপ তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস। শিলিগুড়িতে পৌঁছে রেল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত যুবক ও তাঁর সহযাত্রীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Share
Published by
News Desk