State

টয় ট্রেনে পাহাড়িয়া ঘুমে এবার পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ

রেলের সাফল্যের তালিকায় প্রতিনিয়ত জুড়ে চলেছে নতুন কিছু। কখনও নতুন প্রকল্প আবার কখনও নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা যাত্রীদের পরিষেবা দিয়ে চলেছে। সঙ্গে রয়েছে ঐতিহ্য রক্ষার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।

দার্জিলিং বললেই যে ছবিটা সামনে ফুটে ওঠে সেটা হল টয় ট্রেন। আর টয় ট্রেনের সঙ্গে ঘুম নামটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ভারতের উচ্চতম রেলস্টেশন ঘুম। দার্জিলিংয়ের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ টয় ট্রেনের সঙ্গে ঘুম স্টেশনের সংযোগ আজকের নয়।

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের এই অমূল্য রত্ন টয় ট্রেনের ইতিহাস সম্বন্ধে যাঁরা জানতে চান তাঁরা ঘুম মিউজিয়ামটা ঘুরে ফেলেন। সেখানেই একটি বিশেষ বিষয় নজর কেড়েছে রেল কর্তাদের।

নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের কর্মকর্তারা নজর করেছেন ক্রমে এই ঘুম মিউজিয়ামে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। সেটাই তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছে। আর তার হাত ধরেই ঘুম মিউজিয়ামের অনেকটা ভোল বদল করলেন তাঁরা। অনেক বেশি তথ্যবহুল করে তোলা হল সেটিকে।

নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব নতুন চেহারায় ভোল বদল হওয়া ঘুম মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন। জানান, নতুন করে ঢেলে সাজানো এই মিউজিয়াম পর্যটকদের আরও আকর্ষিত করবে। নানা বিষয় জানার সুযোগ করে দেবে। আগামী দিনে ঘুম মিউজিয়াম বা সংগ্রহশালাকে আরও তথ্যবহুল করে তোলার পরিকল্পনা তাঁদের রয়েছে বলেও জানান শ্রীবাস্তব।

শতবর্ষ পূর্ণ করা স্টিম ইঞ্জিন ৮০৬বি কুইন অফ দ্যা হিলস-এর শতবর্ষের যাত্রার উদ্বোধনও করেন শ্রীবাস্তব। এছাড়া দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের সুরক্ষার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন রেল কর্তারা। যাত্রী স্বার্থে আরও কি কি ধরনের উন্নতি করা যেতে পারে তাও পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেই সঙ্গে নতুন কয়েকটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করা হয়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *