বৈরাবি সাইরাং রেলপথে ভারতের দ্বিতীয় উচ্চতম রেলব্রিজ, ছবি – সৌজন্যে – এক্স – @JPNadda
দেশের কোনও জায়গায় যেতে গেলে রেল বড় ভরসা। শুধু মানুষ বলেই নয়, পণ্যপরিবহনে রেলের ভূমিকা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এখনও দেশের কয়েকটি অংশের সঙ্গে রেলযোগাযোগ নেই। হয় সড়কপথে, নয়তো আকাশপথে পৌঁছতে হয় সেখানে।
এই আধুনিক পৃথিবীতে এক বদলে যাওয়া আধুনিক ভারতে যে এমনও কোনও জায়গা থাকতে পারে এটা অবাক করতে পারে। কিন্তু তা রয়েছে। মিজোরামের সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের যোগাযোগ এতদিন ছিলনা।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত রাজ্য মিজোরাম। পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা অধিকাংশ এলাকা। দুর্গম চারধার। সেই মিজোরাম এতদিন দেশের রেল মানচিত্রের বাইরে ছিল।
অবশেষে ভারতীয় রেলের জন্মের ১৭২ বছর পর এই অসাধ্য সাধন হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে উদ্বোধন হল বৈরাবি সাইরাং রেললাইনের। যা ভারতের সঙ্গে জুড়ে দিল মিজোরামকে। রেলপথটি নির্মাণে সময় লাগল ১০ বছর।
মিজোরামের অনেক জায়গাই যেহেতু অতি দুর্গম তাই সেই পথ ধরে রেললাইন তৈরিটাই ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। সেই দুর্গম জায়গার মধ্যে দিয়েই নিয়ে যাওয়া হল রেললাইন। অনেক জায়গা পার করতে সেতুর সাহায্য নিতে হল এই লাইন তৈরির ক্ষেত্রে।
পাহাড়ের ঢাল, অতি ঘন জঙ্গল, সুগভীর খাদ, এসবই পার করছে এই রেলপথ। এই রেলপথ সম্পূর্ণ করতে ৪৮টি সুড়ঙ্গ তৈরি করতে হয়েছে। ১৫০টি সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে।
বৈরাবি সাইরাং রেলপথের উদ্বোধন করে আইজল থেকে নয়াদিল্লি রুটে যাত্রা শুরু করল রাজধানী এক্সপ্রেস। ২ হাজার ৫১০ কিলোমিটারের এই পথ রাজধানী এক্সপ্রেস পার করতে সময় নেবে সাড়ে ৪৩ ঘণ্টা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা