কাশ্মীরের আপেল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রেলমন্ত্রক
ফলের মধ্যে আপেলের চাহিদা সারাবছরই থাকে। জম্মু কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশ, এই ২ রাজ্য আপেল চাষের জন্য বিখ্যাত। সেই কাশ্মীরের আপেল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রেলমন্ত্রক।

আপেল বললেই ভারতীয়দের চোখের সামনে যে রাজ্যটি ভেসে ওঠে সেটা কাশ্মীর। যদিও হিমাচল প্রদেশও আপেল চাষে অগ্রণী, কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে কোথাও যেন জায়গা করে নিয়েছে কাশ্মীরের আপেল।
যদি সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসাও করা হয় কোথাকার আপেল তিনি খেতে পছন্দ করবেন, তাহলে অধিকাংশের উত্তর হবে কাশ্মীরের আপেল। সেই কাশ্মীরের আপেল পেকে গিয়েছে। এবার তা বাগান থেকে তুলে বাজারে পাঠানোর পালা।
অগুন্তি আপেল অপেক্ষায় রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন স্থান থেকে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ার জন্য। কিন্তু উপায় কমেছে। সড়কপথে যে আপেল নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া যাবে তার উপায় নেই। অধিকাংশ রাস্তা ধসে থমকে রয়েছে।
এদিকে আপেল তুলে ফেলার পর এভাবে দিনের পর দিন পড়ে থাকলে তাতে পচন ধরার সম্ভাবনা প্রবল। তা নষ্ট হতে পারে। ফলে আপেল চাষিদের মাথায় হাত পড়েছিল।
এরপরই আপেল নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিল রেলমন্ত্রক। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন কাশ্মীরের আপেল এবার দিল্লিতে পৌঁছ দেওয়ার ব্যবস্থা তাঁরাই করবেন।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন কাশ্মীরের বদগাম থেকে উপত্যকার আপেলের বিপুল ফলন নিয়ে দিল্লি পৌঁছবে একটি পার্সেল ট্রেন। যা প্রতিদিন যাতায়াত করবে। ২টি পার্সেল ভ্যানে আপেল ভরে নিয়ে আসা হবে।
আপেল নিয়ে কাশ্মীরের বদগাম থেকে রওনা দিয়ে দিল্লির আদর্শ নগরে এসে থামবে ট্রেনটি। এতে কাশ্মীরের আপেল চাষিদের যে ক্ষতির মুখ দেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তা দূর হল। এখন আর সড়কপথের ভরসা তাঁদের করতে হবেনা। উৎপাদিত আপেল সহজেই এবার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে ট্রেনে করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা