ট্রেনে প্রথম শ্রেণির এসি কামরায় ঘুম বিদেশিদের, ঘুম ভাঙতেই মাথায় হাত
তাঁরা বিদেশি পর্যটক। ভারতে ঘুরতে এসেছেন। ট্রেনের প্রথম শ্রেণির এসি কামরায় উঠেছিলেন তাঁরা। ট্রেন চালু হলে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম ভাঙতেই মাথায় হাত পড়ে যায় তাঁদের।

দিল্লি থেকে যোধপুর, এটাই মান্দোর এক্সপ্রেসের রুট। যা জয়পুর হয়ে যায়। এই জয়পুর থেকে মান্দোর এক্সপ্রেসে ওঠেন ২ বিদেশি পর্যটক। তাঁরা ট্রেনটির প্রথম শ্রেণির এসি কামরায় টিকিট কেটেছিলেন।
একটি ট্রেনের সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু কামরা বলে ধরা হয় এই ফার্স্ট এসি কোচকে। পর্যটকরা সেই কামরায় তাঁদের সিটে গিয়ে বসেন। ট্রেন জয়পুর ছেড়ে এগোয়। ট্রেন চলতে শুরু করার পর তাঁরা কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে পড়েন।
ঘুম ভাঙতে তাঁদের মাথায় হাত পড়ে যায়। ২ জনেরই সঙ্গে থাকা ব্যাগ উধাও। যে ব্যাগে নগদ ২ লক্ষ টাকা, অ্যাপল এয়ারপড, অ্যাপল পেনসিল এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। সব খুইয়ে পর্যটকরা দ্রুত কামরার টিকিট পরীক্ষক এবং সুরক্ষা আধিকারিকদের বিষয়টি জানান।
যোধপুর স্টেশনে ট্রেন পৌঁছলে সেখানে আরপিএফ-এর কাছে একটি এফআইআরও দায়ের করেন ২ পর্যটক। অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বিকাশ খেড়া নিজে হাজির হন তাঁদের কাছে। ২ পর্যটককে তিনি আশ্বাস দেন তাঁদের খোয়া যাওয়া জিনিস রেল খুঁজে দেবে।
খেড়া এ প্রশ্নও করেন যে রেলের প্রথম শ্রেণির এসি কামরা সর্বক্ষণ জিআরপি-র নজরদারিতে থাকে। তেমন একটি সুরক্ষিত কামরা থেকে যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে কেউ পালাল কীভাবে? দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন খেড়া। ইতিমধ্যেই কামরার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা