সমুদ্রের তলা দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন, লক্ষ্যে মাইলফলক পার
সমুদ্রের তলা দিয়ে যাবে ট্রেন। স্বপ্নের বুলেট ট্রেনে সফর সফলের লক্ষ্যে এবার অন্যতম মাইলফলক পার। সেকথাই জানাল রেলমন্ত্রক।

৫০৮ কিলোমিটারের যাত্রাপথ। সেই যাত্রাপথে পড়ছে নদীও। এমনকি সমুদ্রও। সমুদ্রের ওপর দিয়ে নয়, ট্রেন ছুটবে নিচ দিয়ে। আর সেই লক্ষ্যে এবার এল বড় সাফল্য। একটা মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল এই উদ্যোগ।
ভারত এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে ভারতের বুকে ছুটবে বুলেট ট্রেন। হতে পারে তাতে চড়া অনেক সাধারণ মানুষের পক্ষেই অসম্ভব হবে। কিন্তু দেশের সাফল্য তো দেশবাসীর সাফল্য। দেশবাসীর গর্ব।
ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন ছুটবে মুম্বই ও আমেদাবাদের মধ্যে। এই ৫০৮ কিলোমিটার পথের ৩১০ কিলোমিটার পথ তৈরি হয়েছে। সম্পূর্ণ যাত্রাপথে সমুদ্রের তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ পথে ছুটবে ট্রেনটি। সেটি হবে ২১ কিলোমিটারের।
বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে হতে চলা এই সমুদ্রের তলার বুলেট ছোটার সুড়ঙ্গের প্রথম অংশ তৈরি হয়ে গেল। এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছে রেলমন্ত্রক।
যে ৩১০ কিলোমিটার পথ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে সেখানে ট্রেনলাইন পাতা, স্টেশন তৈরি, ব্রিজ তৈরি, যে ইলেকট্রিক তার মাথার ওপর দিয়ে যাবে সেই ওভারহেড তার পাতা সহ অনেক কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
জাপান ও ভারতের যৌথ প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে এই বুলেট ট্রেনের পথ। যে ট্রেন ছুটবে তাও জাপানেরই হতে চলেছে। জাপান সরকার তাদের ই১০ শিনকানসেন ট্রেন দিতে রাজি হয়েছে। অত্যাধুনিক এই বুলেট ট্রেন একই সঙ্গে ভারত ও জাপানে যাত্রা শুরু করবে।
যাত্রাপথে ১৫টি নদী ব্রিজ তৈরি হয়ে গেছে। আরও ৪টি প্রায় তৈরি সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। যাত্রাপথে মোট ১২টি স্টেশন পড়বে। এরমধ্যে ৫টি তৈরি হয়ে গেছে। ৩টি তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে।
স্টেশনগুলির মধ্যে একটি হবে বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স। যেটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময় হতে চলেছে। মাটি থেকে ৩২.৫ মিটার তলায় হবে স্টেশনটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা