Feature

১৭০ বছর আগে সাহিব, সুলতান এবং সিন্ধ মিলে টেনেছিল এশিয়ার প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেন

এশিয়ার প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চাকা গড়িয়েছিল ১৭০ বছর আগে ১৬ এপ্রিল। সেই ঐতিহাসিক ট্রেনকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল সাহিব, সুলতান এবং সিন্ধ।

Published by
News Desk

ইতিহাস অমলিন। এমন কিছু ইতিহাস থেকে যায় যা চিরদিন মানুষকে নাড়া দেয়। এখন ট্রেনের ভিড়ে তার সংখ্যা গোনা দায়। প্রচুর রুট, প্রচুর লাইন, প্রচুর ট্রেন। কিন্তু ১৭ দশক আগে এই ট্রেন ছিল এক আশ্চর্যের নাম। যা দেখতে মানুষ ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল হাজির হয়েছিলেন।

হাজার হাজার মানুষ অবাক চোখে চেয়ে দেখেছিলেন, ৪০০ জন কৌতূহলী, হতবাক মানুষ দুরুদুরু বুকে চড়ে বসেছিলেন ট্রেনের কামরায়। আর সেই গাড়িকে লাইনের ওপর দিয়ে টেনে নিয়ে যেতে ফোঁস ফোঁস করে বিকেলের আলো গায়ে মেখে ছুটতে শুরু করে সাহিব, সুলতান এবং সিন্ধ।

এই ত্রিশক্তি একবিন্দুতে শক্তি সঞ্চয় করে তার বলে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে এশিয়ার প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে। সাহিব, সুলতান এবং সিন্ধ ছিল ৩টি ইঞ্জিনের নাম, যা সেই ঐতিহাসিক ট্রেনকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল গন্তব্যে।

সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তকে চর্মচক্ষে দেখার লোভ অনেকেই এড়াতে পারেননি। সেদিন বোরিবন্দর স্টেশন যা অধুনা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস নামে খ্যাত সেখান থেকে ট্রেনটি ৪০০ জন বিশেষ আমন্ত্রিত যাত্রীকে নিয়ে পৌঁছেছিল থানে।

উনবিংশ শতাব্দীর থানে গ্রামে রেলব্রিজ, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

এই ৩৪ কিলোমিটারের রেল যাত্রা যে ইতিহাসের সূচনা সেদিন করেছিল তা ১৭ দশক পার করে এখন ভারতীয় রেলের অতি সুবিশাল সংসারের জন্ম দিয়েছে। সেদিনের সেই বম্বে থানে যাত্রা এশিয়া মহাদেশেরও প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যাত্রা ছিল।

তাই শুধু ভারত বলে নয়, এ ইতিহাস গোটা এশিয়ার গর্বের। ২১টি তোপধ্বনির সঙ্গে সহর্ষ করতালির মধ্যে বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করেছিল সেই ঐতিহাসিক ট্রেন।

Share
Published by
News Desk