Feature

দাঁড়ায় ৫৯টি স্টেশনে, দেশের সবচেয়ে লম্বা রুটের ট্রেন কোনটি

দেশের সবচেয়ে লম্বা রুটের ট্রেনটি যাত্রা করার দিন থেকে গন্তব্যে পৌঁছয় চতুর্থ দিন। ৩ রাত্রি ট্রেনেই কাটাতে হয় যাত্রীদের। কোন রুটে চলে এই ট্রেন?

Published by
News Desk

দেশজুড়ে জালের মত বিছিয়ে আছে ট্রেন রুট। কোথাও লম্বা রুটে ছুটছে এক্সপ্রেস, কোথাও ছোট রুটেও গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে ট্রেন। গোটা দেশে যত ট্রেন রুট রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে লম্বা ট্রেন রুট কিন্তু চালু হয়েছে মাত্র ১০ বছর।

২০১১-১২ অর্থবর্ষের রেল বাজেটে প্রস্তাব করা হয় এই রেল রুটের। উপলক্ষ ছিল স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন। স্বামীজিকে স্মরণ করে সে বছর বিবেক এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বেশ কয়েকটি রুটে চালুর প্রস্তাব করা হয়েছিল।

সেই তালিকায় একটি বিবেক এক্সপ্রেস ছিল দক্ষিণের কন্যাকুমারী থেকে পূর্বের ডিব্রুগড় পর্যন্ত। যা যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সাল থেকে।

সেটিই এখন ভারতের সবচেয়ে লম্বা ট্রেন রুট। ট্রেনটি কন্যাকুমারী থেকে যাত্রা শুরু করে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে।

ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী বিবেক এক্সপ্রেস, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

সেদিন রাত পার করে তার পরের দিন পুরো, তার পরেরদিনও পুরো, তারপর দিন রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি অসমের ডিব্রুগড় পৌঁছয়। তার মানে যেদিন ট্রেনটি কন্যাকুমারী থেকে ছাড়ছে সেদিনটি ধরে ৪ দিনের মাথায় সেটি ডিব্রুগড় পৌঁছচ্ছে।

হিসাব বলছে গন্তব্যে পৌঁছতে ৭৬ ঘণ্টা সময় নেয় ট্রেনটি। এই পুরো রুটে বিশাখাপত্তনম স্টেশনেই সবচেয়ে বেশি সময় দাঁড়ায় ট্রেনটি।

বিশাখাপত্তনমে ২০ মিনিট দাঁড়ায় বিবেক এক্সপ্রেস। কলকাতায় না এলেও কলকাতার কাছে খড়গপুর, ডানকুনি হয়ে ট্রেনটি চলে যায় এ রাজ্যের উত্তর প্রান্তের দিকে। যাত্রা শুরু ও গন্তব্যের স্টেশন মিলিয়ে পুরো যাত্রাপথে ট্রেনটি ৫৯টি স্টেশনে দাঁড়ায়।

Share
Published by
News Desk