National

প্রেশারকুকারে পুলিশের লাথি, ঝলসে গেল শিশুর দেহ

একটি প্রেশারকুকারে এক পুলিশ আধিকারিকের সজোর লাথির জেরে ঝলসে গেল এক শিশুর দেহ। যদিও রেল পুলিশের তরফে ঘটনাটি অস্বীকার করা হয়েছে।

Published by
News Desk

রেলস্টেশনের টয়লেটের ধারেই তাঁদের বাস। সেখানেই অস্থায়ী ঝুপড়ি তৈরি করে সেখানেই সংসার। পেশা বলতে কাগজ কুড়োনো। আবার রেলে কেউ কাটা পড়লে সেই দেহ লাইনের ওপর থেকে সরানোর জন্য রেল পুলিশই তাঁদের ডেকে নিয়ে যায়।

গত শনিবারও এমনই এক ঝুপড়িতে রান্না করছিলেন এক মহিলা। পাশেই ছিল তাঁর সদ্যোজাত সন্তান। তাঁর অভিযোগ আচমকাই আরপিএফ-এর ২ পুলিশকর্মী ঝুপড়িতে ঢুকে আসেন। এঁদের মধ্যে একজন সাব-ইন্সপেক্টর পদাধিকারী।

তাঁরা ঝুপড়িতে ঢুকেই সেখানে থাকা জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দিতে থাকেন। এরমধ্যেই স্টোভে ডাল সিদ্ধ হচ্ছিল একটি প্রেশারকুকারে। সেই প্রেশারকুকার লাথি মেরে ফেলে দেন একজন।

প্রেশারকুকার ছিটকে পড়ে। আর তার থেকে ফুটন্ত জল বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সদ্যোজাত শিশুটির গায়ে। ঝলসে যায় তার নরম দেহ।

যদিও প্রাণে বেঁচে গেছে শিশুটি। তবে দগ্ধ হয়েছে শরীরের একাংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিশুটির ডান হাতের।

আরপিএফ-এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের চারবাগ রেল স্টেশনে। চারবাগের রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ-এর এসএইচও মুকেশ কুমার অবশ্য দাবি করেছেন একটি অ্যান্টি এনক্রোচমেন্ট ড্রাইভ হয়েছিল ঠিকই তবে এক সাব-ইন্সপেক্টর প্রেশারকুকারে লাথি মারায় এক সদ্যোজাত দগ্ধ হয়েছে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk