Kolkata

৪৭ দিন পর শুরু রেল পরিষেবা, হাওড়ায় প্রবল ব্যস্ততা

নিয়ন্ত্রিত বিধি মেনে অবশেষে ৪৭ দিন স্তব্ধ থাকার পর ফের যাত্রী পরিষেবা শুরু করল ভারতীয় রেল। তবে সংখ্যায় নগণ্য।

Published by
News Desk

গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জানিয়ে দেন দেশজুড়ে করোনা রুখতে লকডাউন শুরুর কথা। তখন ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউনের পাশাপাশি স্তব্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা। লোকাল থেকে দূরপাল্লার, কোনও ট্রেনই আর যাত্রা করবে না বলে ভারতীয় রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়।

এমন ঘটনা ভারতীয় রেল যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রথম ঘটে। এরপর আবশ্যিক পণ্য পরিবহণের জন্য মালগাড়ি ছুটলেও যাত্রীবাহী কোনও ট্রেন চলেনি। ৪৭ দিন এমন স্তব্ধ অবস্থায় কাটার পর অবশেষে লকডাউনের ৪৮ তম দিন থেকে ফের যাত্রী নিয়ে ছুটল ভারতীয় রেল। তবে তার আগেই শুরু হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। এদিন ছুটল এসি ট্রেন।

আপাতত ১৫টি রুটে ট্রেন চালাচ্ছে রেল। গত সোমবার থেকে এই যাত্রার জন্য টিকিট বুকিং শুরু হয়। কেবলমাত্র আইআরসিটিসি মারফতই টিকিট কাটতে পারছেন যাত্রীরা। সোমবার বুকিং শুরুর মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই আগামী ৭ দিনের টিকিট শেষ হয়ে যায়। প্রবল চাপে সাইট বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবশ্য চালুও হয়। এদিকে সেই মত মঙ্গলবার থেকে যাত্রা শুরু করল ট্রেনগুলি। দিল্লি থেকে বিভিন্ন রুটে যেমন ট্রেন ছাড়ে তেমনই হাওড়া থেকেও দিল্লির উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে পাড়ি জমায় এসি ট্রেন।

ট্রেন ছিল বিকেল ৫টার পর। যা ধরতে দুপুর থেকেই হাওড়া স্টেশনে হাজির হতে থাকেন যাত্রীরা। সেখানে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে ছিল যথেষ্ট রেল পুলিশ। ছিলেন রেলের আধিকারিকরা। ঠিকঠাক লাইন করিয়ে একের পর এক পরীক্ষা করে যাত্রীদের প্রবেশ করানো হয়। যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। কেবলমাত্র উপসর্গহীন মানুষজনকেই ট্রেনে চড়তে দেওয়া হয়। পুরো ট্রেন তার আগে জীবাণুমুক্ত করা হয়। ট্রেন সফরকালেও যাত্রীদের পালনীয় বিধি জানিয়ে দেয় রেল। প্রত্যেকের মুখে মাস্ক আবশ্যিক বলেও জানানো হয়। এদিকে এদিন দিল্লি থেকেও যাত্রা করে যাত্রীবাহী এসি ট্রেন। ফলে দিল্লি স্টেশনেও ছিল প্রবল ব্যস্ততা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts