National

কোয়ারেন্টিনে আত্মহত্যা, অথচ রিপোর্ট এল নেগেটিভ

এক রেলকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর এক উর্ধ্বতন আধিকারিকের করোনা পজিটিভ ধরা পরায় তাঁদের ৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

Published by
News Desk

রেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি ছিলেন তিনি। কাজ করতেন ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন বিভাগে। ওই বিভাগের এক উর্ধ্বতন আধিকারিকের দেহে করোনা পাওয়া যায়। তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। আর তাঁর সঙ্গে কাজ করা ৮ জন কর্মীকে পাঠানো হয় কোয়ারেন্টিনে। সেইসঙ্গে সকলের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফল তখনও আসেনি। কিন্তু তার আগেই আত্মহত্যা করলেন ৫৯ বছর বয়স্ক ওই কর্মী।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের টুন্ডলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। যেটি বর্তমানে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। ওম প্রকাশ নামে ওই ব্যক্তি একটি সুইসাইড নোটও রেখে গেছেন। তবে সেটা থেকে পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয় যে তিনি করোনা আতঙ্কেই আত্মহত্যা করেছেন কিনা। আদপে ঠিক কী কারণে তিনি এই পথ বেছে নিলেন তা পরিস্কার নয় সুইসাইড নোট থেকে।

অনেকের ধারণা করোনা হয়ে থাকতে পারে এই আতঙ্কেও তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। যদিও ওম প্রকাশ আত্মহত্যা করার পর বুধবার সন্ধেয় তাঁর করোনা রিপোর্ট আসে। তাতে স্পষ্ট যে তাঁর করোনা হয়নি। এদিকে ওম প্রকাশ তাঁর সুইসাইড নোটে ছেলেকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন তিনি রেলের দেওয়া যে ঘরে থাকেন সেখানে বিছানার তলায় ৬৭ হাজার টাকা আছে আর তাঁর প্যান্টের পকেটে ৪ হাজার টাকা আছে। ওই টাকা যেন ছেলে উদ্ধার করেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk