ফাইল : বিধাননগর স্টেশনে থমকে থাকা ট্রেন, ছবি - আইএএনএস
দূরপাল্লার গাড়ি থেকে লোকাল। সবই গেল থমকে। কিছু করার নেই। ভবঘুরের খেয়াল চেপেছে সে রেলওয়ে হাইট বারে চড়ে বসে থাকবে। আর তাতেই থমকে গেল অনেক ট্রেনের চাকা। কারণ যে বিদ্যুৎ ট্রেনের চালিকাশক্তি, সেই বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎ পরিবহণ বন্ধ করতে বাধ্য হলেন রেলের কর্তারা। নাহলে বেঘোরে মারা যেতেও পারত ওই ভবঘুরে। তাকে বাঁচাতে বহু রেলযাত্রীকে দুর্ভোগের শিকার হতে হল। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার রাত ৯টা নাগাদ পূর্ব রেলের সাবার্বান রেলস্টেশন পাতিপুকুরের কাছে।
এখানে রাত ৯টা নাগাদ রেলওয়ে হাইট বারে চড়ে বসে এক ভবঘুরে। তাকে বারবার বলা সত্ত্বেও সে গ্রাহ্য করেনি। ছুটে আসে রেলপুলিশ। তারাও বারবার চেষ্টা করে। বুঝিয়ে বলে, ভয় দেখিয়ে, কিছুতেই কোনও কাজ হয়নি। খবর পেতে সেখানে হাজির হন রেলের পদস্থ কর্তারাও। দ্রুত তাঁরা ওই লাইনে বিদ্যুৎ পরিবহণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। বিদ্যুৎ বন্ধ করায় স্তব্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। এরপর বারবার ওই ভবঘুরেকে অনুরোধ করা হয় নেমে আসার জন্য। এভাবে সময় ঘুরতে থাকে, রাত বাড়তে থাকে।
ভবঘুরে কিন্তু কিছুতেই কোনও কিছু গ্রাহ্য না করে বসে থাকে। দমকল হাজির হয়। এদিকে এই করতে করতে ঘড়ির কাঁটা ঘুরে রাত গভীর হচ্ছে। কিন্তু ভবঘুরে নামবে না। অবশেষে দমকল থেকে ল্যাডার আনা হয়। তাতে করে ভবঘুরের কাছে পৌঁছন দমকলকর্মীরা। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাতেও সে শোনার পাত্র নয়। অবশেষে ভোর ৪টে নাগাদ তাকে জোর করে সেখান থেকে নামিয়ে আনেন ২ দমকলকর্মী। ৯ ঘণ্টা ধরে চলা এই নাটকে যবনিকা পতন হয়। প্রাণে বেঁচে যায় ভবঘুরে। কিন্তু বহু মানুষের সমস্যার অন্ত থাকেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা