ভারতীয় রেল, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
বাড়ি বিহারে। তবে থাকেন ছেলের কাছে পঞ্জাবে। সামনেই ছট পুজো। তাই ছেলে, বৌমাকে সঙ্গে করে ফিরছিলেন বাড়িতে। অমৃতসর থেকে টাটানগরগামী জালিয়ানওয়ালাবাগ এক্সপ্রেসে চড়ে বসার পর তাঁদের পাশেই বসে ৩ যুবক। তাদের ধূমপান চলতেই থাকে। সেই সিগারেটের নিরন্তর ধোঁয়া কার্যত একসময়ে অসহ্য হয়ে ওঠে বছর ৫০-এর চিন্তা দেবীর। শেষপর্যন্ত সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করেন তিনি। ওই যুবকদের ট্রেনের মধ্যে এভাবে সিগারেট খেতে মানা করেন। ওই মহিলার প্রতিবাদ শুনে আচমকাই মারমুখী হয়ে ওঠে যুবকরা। চড়াও হয় তাঁর ওপর। চলতে থাকে এলোপাথাড়ি মার।
মাকে মার খেতে দেখে ছেলে, বৌমা আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁদেরও মার খেতে হয়। অবশেষে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলা লুটিয়ে পড়লে শাহজাহানপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেন থেকে লাফ মেরে চম্পট দেয় ২ যুবক। কিন্তু একজনকে ধরে ফেলেন ট্রেনের অন্য যাত্রীরা।
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পাকড়াও করা যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)