Sports

টানটান জয় দিয়ে আইপিএল শুরু করল কলকাতা

টানটান ম্যাচে জিতে নিজেদের এই মরসুমের আইপিএল দৌড় শুরু করল শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারায় তারা।

Published by
News Desk

করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্যই গত বছরের আইপিএল এই সময় হতে পারেনি। এবার অবশ্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। কিন্তু আইপিএল শুরু হল সময়েই। তবে ফাঁকা মাঠে।

চেন্নাইয়ের দর্শক শূন্য মাঠে এদিন আইপিএল-এর তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা ও হায়দরাবাদ। এবার কোনও দলই তাদের ঘরের মাঠে খেলতে পারছেনা। এদিন টস জেতেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান।

ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল নীতীশ রাণা ও শুভমান গিল জুটি। তবে কলকাতা যে এদিন হোমওয়ার্ক করে খেলছে তাও স্পষ্ট হচ্ছিল।

নীতীশের ব্যাট এদিন চললেও গিল অতটা ছন্দে ছিলেননা। গিল দ্রুত ফিরলেও নীতীশ ও রাহুল ত্রিপাঠীর ব্যাট চলতে থাকে। আর এতটাই ভয়ংকরভাবে চলতে থাকে যে রানের গতি হুহু করে চড়তে থাকে।

এঁদের ২ জনের জুটি ১৪৬ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় দলকে। এরপর অবশ্য দ্রুত ৪ উইকেট পড়ে যায়। নীতীশ ৮০ রান করেন, রাহুল ৫৩ রান করেন, অধিনায়ক মর্গান ২ রান করেন এবং রাসেল ৫ রান করে ফেরেন।

ফলে কলকাতার ২০০ রান করার সুযোগ প্রায় হারিয়ে যায়। শেষে দীনেশ কার্তিকের ঝোড়ো ব্যাটে কলকাতা পৌঁছে যায় ১৮৭ রানে।

১৮৮ রান করলে জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে ১০ রানের মধ্যেই ডেভিড ওয়ার্নার এবং ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। সেই চাপ অবশ্য মুছে যায় মণীশ পাণ্ডে এবং জনি বেয়ারস্টোর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে।

এঁরা ২ জনেই কার্যত খেলায় হায়দরাবাদকে বাঁচিয়ে রাখেন। এমনকি জয়ের দিকে নিয়ে যান। ৫৫ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন মণীশ পাণ্ডে। করেন ৬১ রান।

নবি ভাল খেললেও রান করেন ১৪। ম্যাচের শেষে যখন প্রায় হায়দরাবাদের আশা শেষ, সেখানে ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে ফের দলকে খেলায় ফেরান আবদুল সামাদ। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।

শেষ বলেও ছক্কা হাঁকান সামাদ। কিন্তু ১০ রানে ম্যাচ হারে হায়দরাবাদ। ম্যাচের সেরা হন নীতীশ রাণা। কলকাতার পরের ম্যাচ মুম্বইয়ের সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts