দিল্লিকে তাদের ঘরের মাঠে হারানোর পর এবার নিজেদের মাঠেও হেলায় হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফিরতি ম্যাচে ৭ উইকেটে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হারল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গৌতম গম্ভীর। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনেকের কাছেই বিষয়টা অদ্ভুত ছিল। কারণ এই গরমে প্রথমে ফিল্ডিং করার চাপ নেওয়া কতটা উচিত হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ব্যাট করতে নেমে দিল্লির শুরুটা রীতিমত ভাল ছিল। সঞ্জু স্যামসন ও করুণ নায়ার রীতিমত ভাল শুরু করেন। সঞ্জুর ব্যাট থেকে রানের গতি ক্রমশ গিয়ার বদলাতে থাকে। দলের ৪৮ রানের মাথায় করুণ আউট হওয়ার পর শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে সঞ্জু স্যামসন দলের রান ১২৩ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। ব্যক্তিগত ৬০ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ৪৭ রানের একটা ঝকঝকে ইনিংস খেলেন আইয়ার। ফলে দিল্লির রানের গতি তাদের ২০০ রান ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। কিন্তু এরপর নিয়মিত উইকেট পতন ও শেষ ৩ ওভারে হাতে গোনা রান ওঠা দিল্লির বড় রানের ইনিংসের সব স্বপ্ন চুরমার করে দেয়। অবশ্যই কলকাতার বোলারদের সেখানে কৃতিত্ব প্রাপ্য। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সুনীল নারিনের উইকেট হারায় কলকাতা। দিল্লির মাপা বোলিংয়ের সামনে রানও তেমন উঠছিল না। ৬ ওভারের শেষে ৪৭ রান করে কিছুটা চাপেই পড়ে যায় কলকাতা। এই অবস্থায় রবীন উত্থাপ্পা একটা আকাশছোঁয়া ক্যাচ তুলে আউট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন। কিন্তু সেখানে অমিত মিশ্র ও সঞ্জু স্যামসনের ভুল বোঝাবুঝিতে সহজ ক্যাচ সামনে পড়ে যায়। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। সহজ ক্যাচ হাতছাড়া হওয়া শুধু নয়, কার্যত এখানেই ম্যাচ হাতছাড়া করে ফেলে দিল্লি। এরপর উত্থাপ্পার স্বভাবোচিত মারমুখী ব্যাটিংয়ের সামনে ক্রমশ ফিকে হতে থাকে দিল্লির বোলিং আক্রমণ। কমতে থাকে জয়ের জন্য রানের ফারাক। রান বলের ফারাক কমে বল ও প্রয়োজনীয় রান মাথায় মাথায় চলে আসার পর জয়টা ছিল সময়ের অপেক্ষা। ৩৩ বলে ৫৯ রানের একটা বিধ্বংসী ইনিংস খেলে উত্থাপ্পা আউট হওয়ার পর গম্ভীরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মণীশ। কিন্তু রাবাদার দুরন্ত বলে তিনিও দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এবার গম্ভীরকে সঙ্গত দিতে নামেন জ্যাকসন। এদিনের সবচেয়ে বিনোদন যদি উত্থাপ্পা হন তবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের নজির গড়ে গেলেন গৌতম গম্ভীর। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একদিকে দাঁড়িয়ে থেকে ৫২ বলে ৭১ রানের একটা শৈল্পিক ইনিংস খেললেন। দলকে জিতিয়ে মাঠ থেকে বার হলেন। তাও আবার অপরাজিত অবস্থায়। স্বাভাবিকভাবেই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ গৌতম গম্ভীর। তবে তখনও গৌতমের ম্যাজিক বাকি ছিল। খেলার শেষে গৌতম পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে জানিয়ে দেন ম্যাচ থেকে পাওয়া অর্থ তিনি সুকমায় নিহত জওয়ানদের পরিবারকে দিতে চান। এমন উদ্যোগকে স্যালুট না করে উপায় কী বলুন তো!
খাবার বললে কলকাতা শহরের জুড়ি নেই। এবার নতুন ধারনার খাদ্যাভ্যাসেও সেরা হল কলকাতা। তাও আবার…
তিনি শারীরিকভাবে অপারগ। এটা জানার পর এক ব্যক্তি তাঁর প্রতিবেশিকে ভাড়া করেন তাঁর স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা…
তাকে ফিরে পেতে এখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন সকলে। যে সে পুতুল নয়। একাই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ঘুরে…
২৭ বছরে কোনও যানবাহনে ওঠেননি তিনি। এমনকি কোনও নৌকা বা গরুর গাড়িতেও নয়। স্রেফ পায়ে…
মেষ রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ…
বৃষ রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ…