Categories: Sports

ফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ

Published by
News Desk

গম্ভীর পারেননি। ওয়ার্নার পারলেন। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে দরকার ছিল ১৬২ রান। ঠিক এই অঙ্কটাই লক্ষ্য ছিল কেকেআরের জন্যও। কিন্তু গত বুধবার ক্যাপ্টেন হয়েও যে দায়িত্বজ্ঞানহীন ইনিংস গম্ভীর খেলেছিলেন, হায়দরাবাদকে ফাইনালে তুলতে ততটাই দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিলেন ওয়ার্নার। একার চেষ্টায় হায়দরাবাদ দলটাকে তুলে নিয়ে গেলেন ফাইনালে। চার উইকেটে গুজরাটকে হারিয়ে রবিবার আইপিএল ফাইনালে বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত করে নিল হায়দরাবাদ। এদিন প্রথ্মে ব্যাট করতে নেমে সুরেশ রায়নার গুজরাট ২০ ওভারের শেষে তোলে ১৬১ রান। জেতার জন্য ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে হায়দরাবাদ। ফলে চাপ বাড়তে থাকে। ভরসা ছিল একটাই যুবরাজ, নমন ওঝারা প্যাভিলয়নে ফিরতে থাকলেও মাঠে তখনও একদিক আঁকড়ে দাঁড়িয়ে আছেন ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যখন ওয়ার্নারকে সঙ্গত দিতে বিপুল মাঠে নামলেন তখনও ম্যাচে সুরেশ রায়নাদেরই পাল্লা ভারী। কিন্তু বিপুলের পরপর ছয়। আর অন্য দিকে দাঁড়িয়ে সমান গতিতে ওয়ার্নারের চারের বন্যা ক্রমশ খেলা হায়দরাবাদের দিকে নিয়ে আসতে থাকে। তবে ফিফটি ফিফটি ম্যাচে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিল ব্রাভোর ১৯ তম ওভার। এক ওভারে ১৯ রান। এখানেই যাবতকীয় সংশয় মুছে ম্যাচ কার্যত পকেটে পুরে নেয় ওয়ার্নাররা। শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ৬ বলে ৫ রান। তবে অত বল লাগেনি। প্রবীন কুমারের শেষে ওভারের প্রথম দুটি বলই বাউন্ডারির ওপারে পাঠিয়ে দলকে একার কাঁধে ভর করে ফাইনালে তুলে দেন ওয়ার্নার। ৯৬ রানের একটা অধিনায়কচিত ইনিংস খেলে দেখিয়ে দেন দলের অন্য খেলোয়াড়েরা তাদের পুরোটা উজার করতে না পারলে অধিনায়কের দায়িত্ব কতটা।

Share
Published by
News Desk