Categories: Sports

কিং খানের সামনে রুদ্ধশ্বাস জয়

Published by
News Desk

শেষ ওভার। তিন উইকেট। চার রান। এবং ম্যাচ শেষ। এক কথায় এভাবেই এদিন ইডেন গার্ডেনসে পঞ্জাবের সঙ্গে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৭ রানে জয় ছিনিয়ে নিল কিং খানের খেলেরা। তাও আবার স্বয়ং কিং খানের উপস্থিতিতে। যে আগের ওভারেই পরপর অক্ষর প্যাটেলকে দুটো ছয় মারতে দিয়ে খেলায় জেতার জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেই রাসেলই শেষ ওভারে প্রবল চাপের মুখে বোলিং ম্যাজিক দেখিয়ে দিলেন। ৬ বল ১২ রান এবং হাতে ৪ উইকেট। জেতাটা খুব দূরে ছিলনা পঞ্জাবের। কিন্তু সেই খেলা যে এভাবে শেষ ওভারে ক্রিকেটের আনসার্টেনটি প্রমাণ করে দেবে তা চোখে না দেখলে অনুভব করা কঠিন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এদিন স্লো বাট স্টেডি ফর্মুলাতেই খেলা এগিয়ে নিয়ে যায় গম্ভীর-উত্থাপ্পার ওপেনিং জুটি। উইকেট হাতে রেখে রানে গতি রাখাই ছিল উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য সফলও হয়। স্লগ ওভারের কাছে এসে বলে বলে রান নেওয়ার তাগিদে গম্ভীর, উত্থাপ্পাকে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। শেষ তিন ওভারে ক্রিজে তখন রান মেশিন রাসেল আর পাঠান। বড় রানের লক্ষ্যে ছোটা কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু সেই অবস্থাতেও পঞ্জাবের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে শত চেষ্টাতেও চার-ছয় হাঁকানো সম্ভব হয়নি এই দুই হার্ড হিটারের। ফলে ১৬৪ রানে শেষ হয় ইনিংস। টার্গেট ১৬৫-কে সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে প্রথম তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে কার্যতই বিনা লড়াইয়ে হারের অনেকটা কাছে পৌঁছে যায় পঞ্জাব। পরে ঋদ্ধিমান সাহা চেষ্টা চালালেও কেকেআরের বোলিংয়ের সামনে এঁটে উঠতে পারেনি। খেলা মোড় নিতে শুরু করে এরপর। ক্রিজে তখন ম্যাক্সওয়েল আর মিলার। যে কোনও বলকে বাউন্ডারি‌পার করা যাঁদের কাছে বাঁ হাতের খেলা। শুরু হয় ম্যাক্সওয়েলের ছক্কা হাঁকানো। কমতে থাকে বল ও প্রয়োজনীয় রানের ফারাক। যদিও এর মাঝেই একটা মেডেন ওভার নিয়ে কলকাতার বোলিংয়ে অনেকটা অক্সিজেনের যোগান দেয় পীযূষ চাওলা। পরে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও ম্যাক্সওয়েল খেলা যা ঘোরানোর ঘুরিয়ে দিয়েই গিয়েছিলেন। দরকার ছিল পরের ব্যাটিং লাইন আপকে কিছুটা লড়াই দিয়ে ম্যাচটা বার করে নেওয়া। কিন্তু জেতার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেও শেষ রক্ষা করতে পারল না পঞ্জাব। কলকাতার পরের খেলা আগামী রবিবার। প্রতিপক্ষ গুজরাট লায়ন্স।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts