National

দাক্ষিণাত্যে সবুজ ঝড়ে খড়কুটোর মত উড়ে গেল বিজেপি

লোকসভা নির্বাচন আগামী বছর। তার আগে কর্ণাটকে বড় ধাক্কার মুখে পড়ল বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেসের এই জয় তাদের লোকসভার প্রস্তুতিতে বাড়তি অক্সিজেন দিল।

Published by
News Desk

ক্ষমতাসীন বিজেপি যে কর্ণাটক নির্বাচনে চাপেই রয়েছে তা এক্সিট পোলের পূর্বাভাসে অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। মানুষ যে বিজেপিকে আর কর্ণাটকে চাইছেন না তা পরিস্কার হয়।

শনিবার সকালে ভোটগণনা শুরু হওয়ার সামান্য সময়ের মধ্যেই পরিস্কার হয়ে যায় এক্সিট পোলের পূর্বাভাস সঠিক ছিল। কংগ্রেস এক স্বপ্নের জয় পেতে চলেছে কর্ণাটকে।

দিন যত বেড়েছে ততই পিছনে যেতে থেকেছে বিজেপি। শুধু বিজেপি নয়, কর্ণাটকের আর এক বড় শক্তি জেডিএস একই রকম ধাক্কার মুখে পড়েছে। যেখানে বিজেপি ও জেডিএস তাদের জেতা আসনও হারাতে থাকে, সেখানে কংগ্রেস তাদের হারানো জমি ফেরত পেতে থাকে।

যদি ত্রিশঙ্কু হয় তাহলে বিজেপি ও জেডিএস জোট বেঁধে সরকার গড়তে পারে বলে যে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল বেলা বাড়ার পর কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতায় এগিয়ে থাকার সুবাদে সে আশাতেও জল পড়ে যায়।

কর্ণাটকে মোট আসন ২২৪টি। নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে গেলে পেতে হবে ১১৩টি আসন। কংগ্রেস তার চেয়েও অনেক বেশি আসনে এগিয়ে যায় বেলা ১২টার মধ্যেই।

দিন যত ঢলেছে ততই এক এক করে আসন জয়ের খবরে কংগ্রেস অফিসে উৎসবের পারদ চড়েছে। ২০১৮ সালে বিজেপি যত ভাল ফল করেছিল তার চেয়েও অনেক বেশি ভাল ফল করে কংগ্রেস। ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ১০৪টি আসন জিতেছিল বিজেপি।

কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই স্বপ্নের বিজয় এসেছে কিন্তু রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমারের হাত ধরে। তাঁর পরিকল্পনাতেই ভোটে এই বিপুল সাফল্য।

এদিকে কর্ণাটকে কংগ্রেসের অবিসংবাদী নেতা সিদ্দারামাইয়া। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে এবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? কাকে বেছে নেবে কংগ্রেস হাইকমান্ড? কারণ শিবকুমারও কম বড় দাবিদার নন।

তবে সেসব চিন্তা হয়তো কংগ্রেস একদিন পর থেকে শুরু করবে। আপাতত বিজেপিকে পরাস্ত করে এই দুরন্ত জয় তারিয়ে উপভোগ করতে ব্যস্ত কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা।

Share
Published by
News Desk