ইচ্ছে হলেই বৃষ্টি পাবে মাটি, দেশের আকাশে মেঘের বীজ ছড়িয়েও থামতে হল বিজ্ঞানীদের
এ এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। ইচ্ছে মত বৃষ্টি পেতে আকাশে মেঘের বীজ ছড়িয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা। এতে ইচ্ছে হলেই ঝরবে বৃষ্টি। তবে বিশেষ কারণে মাঝে থামতে হল তাঁদের।
চেষ্টাটা আগেও হয়েছিল। কিন্তু সে সময় প্রয়োজনীয় সবুজ সংকেত মেলেনি। দীপাবলির পর এখন দিল্লির আকাশে দূষণের বাড়বাড়ন্ত। প্রতিবছরই এই সময় দিল্লির আকাশ দূষণের কবলে পড়ে।
গত মঙ্গলবার কানপুর থেকে একটি বিমান দীর্ঘ অপেক্ষার পর উড়ে যায় আকাশে। বিমানে ছিলেন কানপুর আইআইটি-র ২ জন বিজ্ঞানী। সকালে দৃশ্যমানতা ছিল ২ হাজার মিটার। তাই বিমানটি ওড়েনি।
অবশেষে দুপুর ১২টা ২০ নাগাদ দৃশ্যমানতা ৫ হাজার মিটার হওয়ার পর বিমানটি ওড়ে। তারপর দিল্লি পৌঁছয় আড়াই ঘণ্টায়। এর মাঝে বিজ্ঞানীরা দিল্লির বুরারি এলাকার কথা মাথায় রেখে আকাশের বুকে ছড়িয়ে দেন মেঘের বীজ। বীজ বলতে আদপে একধরনের রাসায়নিক। যা সেখানে বৃষ্টি ঝরাতে মেঘের সঞ্চার করবে। ১০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে এই বৃষ্টিপাতের ব্যবস্থা করা যাবে।
এই বৃষ্টি ঝরে পড়তে পারে এই রাসায়নিক আকাশের বুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে। বৃষ্টি ঝরে পড়লে দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আগামী দিনে তেমন আর ভাবনা থাকবেনা। কারণ যেসব এলাকায় দূষণ বৃদ্ধি পাবে, সেখানকার আকাশে এই মেঘের বীজ বপন করা হবে।
জল ঝরিয়ে বাতাসে থাকা ধুলো, ধোঁয়াশা সব মুছে দেবে বৃষ্টি। তবে প্রথমে রাসায়নিক ছড়িয়ে দেওয়ার পথে হাঁটলেও ১ দিন পর বিজ্ঞানীদের থামতে হয়। কারণ বৃষ্টির জন্য যথেষ্ট জলীয় বাষ্প গত বুধবার তাঁরা বাতাসে পাননি। কানপুর আইআইটি-র বিজ্ঞানীরা জানান, এই কৃত্রিম বৃষ্টি করানোর জন্য আবহাওয়ার সমর্থন দরকার। নাহলে এই পদ্ধতিকে বাস্তবায়িত করা কঠিন।
তবে এই ব্যবস্থা সফল হলে আগামী দিনে দিল্লি বলেই নয়, অন্যত্রও প্রয়োজনে দূষণ নিয়ন্ত্রণে ও বাতাসে বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বৃদ্ধি রুখতে এই কৃত্রিম বৃষ্টি নতুন পথ খুলে দেবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

