National

পর্যটকদের আনন্দ দিয়ে গ্রামবাসীদের পাশে থাকতে ভারতীয় সেনার অনন্য উদ্যোগ

গ্রামের উন্নয়ন, যেখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন, যুবকদের কর্মসংস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পর্যটকদেরও এক নতুন অভিজ্ঞতায় ভরিয়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে অনন্য উদ্যোগ নিল ভারতীয় সেনা।

ভারতীয় সেনার সাহচর্যে উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুনের গার্বিয়াং গ্রামে একটি হোমস্টে-র সূচনা হয়েছে। সেনার অপারেশন সদ্ভাবনার অংশ হিসাবে গ্রামীণ এলাকার বিকাশ এবং স্থানীয় জীবনযাত্রার মান উন্নত করাই এই নয়া উদ্যোগের লক্ষ্য।

এই হোমস্টেটি পুরোটাই তাঁবু দিয়ে ঘেরা। এখানে কোনও কংক্রিটের ঘর নেই। তাই এই প্রকল্পটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি কুমায়ুনের অন্যান্য সব প্রচলিত হোমস্টের থেকে একেবারেই আলাদা। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত গার্বিয়াং গ্রামের ছবির মত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে এই তাঁবুর মধ্যে হোমস্টেটি ভীষণভাবে মানানসই।

সেনার তরফে জানানো হয়েছে এই প্রকল্পটির মাধ্যমে তারা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে পর্যটনের উন্নয়ন করতে চাইছে। এর ফলে পর্যটকেরা সেখানকার স্থানীয় সংস্কৃতিকে আরও ভালভাবে জানতে পারবেন। স্থানীয়রা অন্যান্য জীবিকার পাশাপাশি এই হোমস্টের ব্যবসার প্রতিও আকর্ষিত হবেন। খুলে যাবে নতুন রোজগারের পথ।

গার্বিয়াংয়ের নিজস্ব ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। একে শিবনগরী গুঞ্জির দ্বার বলা হয়। এখান থেকে ২টি বিখ্যাত তীর্থস্থানে যাওয়া যায়। একটি রাস্তা আদি কৈলাসের দিকে চলে গেছে। অপর রাস্তাটি গেছে কালাপানির দিকে। গার্বিয়াং ধর্মীয় এবং সামরিক, উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।

এই হোমস্টেতে থাকতে হলে প্রতিদিন মাথাপিছু ১০০০ টাকা করে গুনতে হবে। এই এলাকার আশপাশে রয়েছে আদি কৈলাস, কালিকা মাতা মন্দির, গৌরিকুণ্ড, পার্বতীকুণ্ড, ব্যাসদেবের গুহা সহ আরও নানা দর্শনীয় স্থান। তাই পর্যটকেরা নতুন এই তাঁবু ভিত্তিক হোমস্টের প্রতি আকর্ষিত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয়রাও এই প্রকল্পে উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। এই হোমস্টের নতুন ভাবনা ও সেই উদ্যোগে ভারতীয় সেনার পাশে থাকা স্থানীয় যুবকদের মধ্যে নতুন কর্মসংস্থানের আশা জাগিয়ে তুলেছে। বর্তমানে হোমস্টেটি সম্পূর্ণভাবে গ্রাম সমিতির দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *