বায়ুসেনার হেলিকপ্টার, ফাইল ছবি
১ দিন আগেই এক যুবক কি করবেন বুঝে উঠতে না পেরে অগত্যা চড়ে যান একটি গাছে। তারপর সেই গাছেই চুপ করে বসেছিলেন তিনি। কি হবে তা একেবারেই তাঁর জানা ছিলনা। তবে বাঁচার জন্য গাছে চড়ে বসে থাকা ছাড়াও কোনও উপায় ছিলনা। একইভাবে গাছে নয়, কাছের একটি উঁচু টিলার মাথায় চড়ে যান আরও ৪ জন।
এদিকে এরমধ্যেই প্রশাসনের কাছে খবর যায় এক যুবক গাছে চড়ে বসে আছেন। প্রশাসনের তরফে দ্রুত সেকথা ভারতীয় বায়ুসেনাকে জানানো হয়। বায়ুসেনার তরফে তাদের নিজস্ব হেলিকপ্টার পাঠানো হয় ওই এলাকায়।
চিহ্নিত করা হয় ওই যুবক কোন গাছে বসে আছেন। তারপর তাঁকে ওই গাছের মগডাল থেকেই তুলে নেয় হেলিকপ্টার। তুলে নিয়ে আকাশপথে যুবককে নিয়ে যায় সুরক্ষিত স্থানে। গাছের ওপর থেকে দুর্গত যুবককে হেলিকপ্টারে উদ্ধারের ঘটনা হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে।
মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে বৈনগঙ্গা নদী। সেই নদীর জল প্রবল বৃষ্টির জেরে আচমকা বাড়তে শুরু করে। যা মাত্র একদিনের মধ্যে আশপাশের অনেক এলাকাকে প্লাবিত করে।
সেই প্লাবনের জল ঢুকতে থাকায় অনেকেই গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। শম্ভু কাহার নামে এই যুবক কোথাও যেতে না পেরে গাছে চড়ে বসেন।
নিচে তখন জল অনেক উঁচু পর্যন্ত উঠে গেছে। ফলে সেখানে নামা অসম্ভব। শম্ভু কাহার যে গাছে চড়ে বসে আছেন সে খবর পেয়ে তাঁকে আকাশপথে উদ্ধার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা