স্মার্ট-এর উৎক্ষেপণ, ছবি - আইএএনএস
নয়াদিল্লি : শব্দের চেয়ে দ্রুত গতির ক্ষমতা সম্পন্ন একটি অস্ত্র যুক্ত হল ভারতীয় অস্ত্রাগারে। নাম সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিসটেড রিলিজ অফ টর্পেডো বা এসএমএআরটি বা ছোট করে ‘স্মার্ট’।
এই অস্ত্রটি জলের তলায় লুকিয়ে থাকা ডুবোজাহাজ ধ্বংস করতে সমর্থ। অব্যর্থ লক্ষ্যে আঘাত হানতে সিদ্ধহস্ত। যা জলের তলার এই অদৃশ্য ঘাতককে উড়িয়ে দিতে পারবে।
ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও এই ডুবোজাহাজ ধ্বংসকারী অত্যাধুনিক অস্ত্রটি তৈরি করেছে।
স্মার্ট অস্ত্রাগারে যুক্ত হওয়ায় আরও শক্তিশালী হল ভারতের নৌসেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সোমবার স্মার্ট-এর সফল পরীক্ষণের পর ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানান।
ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান জানান এই অস্ত্র আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি। ওড়িশার হুইলার দ্বীপ থেকে সোমবার বেলা পৌনে ১২টায় স্মার্ট-কে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। আর তা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে একদম সঠিকভাবে আঘাত করে। সফল হয় পরীক্ষা।
স্মার্ট উৎক্ষেপণের পর এই ক্ষেপণাস্ত্রটির উড়ে যাওয়া, টর্পেডো উৎক্ষেপণ এবং গতি নিয়ন্ত্রণের মত বিভিন্ন বিষয় এদিন প্রত্যাশামতই সফল হয়েছে। রাডার, ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল সিস্টেম সহ নানা ভাবে এটির প্রতিটি গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়। কতটা সফলভাবে এটি কাজ করছে তা দেখার জন্য। সেখানে প্রতিটি পরীক্ষাতেই সফল হয় স্মার্ট।
স্মার্ট একটি লাইট ওয়েট অ্যান্টি সাবমেরিন টর্পেডো। যা সাধারণ টর্পেডোর রেঞ্জের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। যেখানে সাধারণ টর্পেডো আঘাত হানতে পারবেনা, সেখানে আঘাত হানতে পারবে এই আধুনিক স্মার্ট।
ভারতীয় অস্ত্রাগারের জন্য এটা একটা বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ভারতের ৩ দিকেই সমুদ্র। ফলে জলপথ সুরক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে এই স্মার্ট অনেকটা নিশ্চিন্ত করবে ভারতীয় নৌবহরকে।
জলপথে লুকিয়ে যদি শত্রুপক্ষ কোনওভাবে সাবমেরিন দিয়ে আঘাত হানার চেষ্টা করে তবে দেশকে রক্ষা করতে স্মার্ট বড় ভূমিকা নেবে। এটা অনেকটা স্বস্তি দেবে নৌসেনাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা