স্বাধীনতা দিবসের মুখে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার শিকার পুলিশ

শ্রীনগর : জঙ্গি উপদ্রব বেড়েই চলেছে জম্মু কাশ্মীরে। শনিবার স্বাধীনতা দিবস। তার ঠিক আগের দিন শুক্রবার সকালে খোদ শ্রীনগরেই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। কড়া সুরক্ষা বলয় থাকলেও তার ফাঁক গলে হামলা চালাল জঙ্গিরা। গুলি করে হত্যা করল ২ পুলিশকর্মীকে। নওগাঁও বাইপাসের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। আচমকাই পুলিশের একটি টহলদারি দলের ওপর হামলা হয়। টহলদারি দলের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। গুলিতে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন ৩ পুলিশকর্মী।

গুলি চালিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় জঙ্গিরা। এদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ৩ পুলিশকর্মীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ২ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। অন্যজন এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন। এই নিয়ে পরপর ২ দিন উপত্যকায় জঙ্গির হামলার ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার হয়েছিল সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা। আর এদিন হল পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণ। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পুরো উপত্যকা জুড়ে পুলিশ ও সেনার তৎপরতা এখন তুঙ্গে। তারমধ্যেও পরপর ২ দিন ২টি ঘটনা ঘটল।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ জম্মু কাশ্মীরের বারামুলা থেকে গুলমার্গের দিকে যাচ্ছিল ভারতীয় সেনার ৩টি গাড়ির একটি কনভয়। ৩টি গাড়ি মিলিয়ে ৩০ জনের মত সেনা ছিলেন। কনভয় পট্টন এলাকার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই গুলি ছুটে আসতে থাকে তাঁদের দিকে। কনভয়ে থাকা ৩টি গাড়ির মধ্যে ১টি গাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল। তার পিছনে থাকা দ্বিতীয় গাড়িটি জঙ্গিদের গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে। কনভয়ের মধ্যে এক সেনা জওয়ান গুলিতে আহত হন।

এই অবস্থায় পাল্টা গুলি চালাতে পারত সেনা। কিন্তু তারা তা থেকে বিরত থাকে। ওই কনভয়ের দায়িত্বে থাকা নায়েব সুবেদার যোগিন্দর সিং সেনাকে গুলি চালানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। বরং যত দ্রুত সম্ভব ৩টি গাড়িকে এলাকার বাইরে নিয়ে গিয়ে জঙ্গিদের আওতার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। সেনার তরফে জানানো হয়েছে যে কোনও পদে জম্মু কাশ্মীরে মোতায়েন থাকাকালীন একটা বিষয় সেনাকর্মীদের শেখানো হয়। তা হল কোনও অবস্থাতেই যেন একজনও সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি না হয়। এক্ষেত্রে এলাকায় মানুষজন থাকায় তাই পাল্টা গুলি চালানোর পথ এড়িয়ে যান নায়েব সুবেদার যোগিন্দর সিং। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা