দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ ডাকঘর, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @shankar s.
ই-মেল, হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস এবং অন্যান্য সুবিধার যুগে চিঠি আদানপ্রদান প্রায় ভুলতে বসেছেন মানুষ। তারপরেও কিন্তু ভারতজুড়ে সক্রিয় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার পোস্ট অফিস। কারণ চিঠি আদানপ্রদান কমলেও নানা আর্থিক পরিষেবা, বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্প, জিনিসপত্র পাঠানো, স্পিড পোস্ট, সরকারি কাগজ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার মত অনেক কাজ পোস্টঅফিস মারফত হয়ে থাকে।
ফলে পোস্টঅফিসে ব্যস্ততা তুঙ্গেই থাকে। এবার সেই পরিষেবাগুলিকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। পোস্টঅফিসের বিভিন্ন পরিষেবায় ডিজিটালের ছোঁয়া দিতে শুরু হয়েছে আইটি ২.০ প্রকল্প।
যেখানে ডাক পরিষেবায় ব্যবহার হবে কিউআর কোড ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন, ওটিপি ভিত্তিক ডেলিভারি, পরিষেবাকে নিখুঁত করতে ১০ সংখ্যার আলফানিউমেরিক ডিজিপিন সহ নানা ডিজিটাল পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য পূরণ ও ডাক পরিষেবাকে বিশ্ব মানের পাবলিক লজিস্টিক অর্গানাইজেশনে পৌঁছে দিতে এই প্রচেষ্টা।
বিএসএনএল-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতীয় পোস্টাল বিভাগ তাদের এই ডিজিটাল অগ্রগতির পাইলট প্রকল্প কর্ণাটকে শুরু করেছে। ক্রমে তা ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
সাধারণ মানুষকে এই আধুনিক পরিষেবা দিতে যাতে ডাকঘর কর্মীদের অসুবিধা না হয় সেজন্য তাঁদের প্রশিক্ষণও শুরু করে দিয়েছে ডাকবিভাগ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা