Sports

লজ্জার হার ভারতের, ২০ বছর পরও ফাইনাল সেই অস্ট্রেলিয়ার

২০ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু তার পরেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়ে হারের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখল ভারতীয় দল। সৌরভের ভারতের দশাই হল রোহিতের ভারতের।

Published by
News Desk

২০০৩ সালে দাপটে খেলে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল সৌরভের নেতৃত্বে ফুটতে থাকা ভারত। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। কিন্তু ফাইনালে লড়াইয়ের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি। লজ্জার হার হারতে হয়েছিল। ২০২৩ এও ছবিটা বদলাল না।

ফাইনালে পৌঁছনোর আগে বীরবিক্রম দেখালেও ফাইনালে পৌঁছে ভারতীয় দল যেন শুরু থেকেই চুপসে রইল। লড়াইও দেখা গেলনা। দাপুটে ব্যাটিং লাইনআপ ক্রমশ ধসে গেল অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের সামনে।

এদিন কানায় কানায় পূর্ণ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম ছিল নীলই নীল। টস জিতে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। যদিও রোহিত শর্মা জানান তিনি টস জিতলেও ব্যাটিংই বাছতেন।

সেদিক থেকে ভারতের টস হারে কিছু যায় আসেনি। কিন্তু ব্যাট করতে নামার পরই বোঝা যায় ফাইনালের চাপে ভুগছে গোটা দল। শুরুটা দুরন্ত করেও একের পর এক উইকেট পতনে রানের গতি থমকে যায়। সেই গতি পুরো খেলাতেও ফেরেনি। বরং উইকেট পড়তেই থেকেছে।

অবশেষে মাত্র ২৪০ রানে গুটিয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল একটা পর্যায় পর্যন্ত লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৩টি উইকেট হারায় ৪৭ রানের মাথায়। এখানে ভারতীয় সমর্থকদের মুখে কিছুটা হাসি ফিরে আসে। একটা জেতার ক্ষীণ আলো দেখতে পাচ্ছিলেন তাঁরা।

কিন্তু তারপর যেভাবে ট্রাভিস হেড এবং লাবুশেন ভারতীয় বোলারদের নিয়ে খেলা করা শুরু করেন তাতে জেতার আশা খুব দ্রুত মিলিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়াকে কাপ জিতিয়ে দেওয়ার নায়ক হয়ে থাকেন ট্রাভিস হেড। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে যান লাবুশেন।

যে পিচে ভারতীয় ব্যাটাররা ভাল খেলার আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছিলেন, সেখানে হেড ও লাবুশেন অবলীলায় ভারতীয় বোলারদের তুলোধোনা করতে থাকেন।

হেডের কাঁধে ভর করে ৭ ওভার বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফের ফাইনালে এক লজ্জার হারের মুখ দেখল ভারতের খাতায় কলমে অতি শক্তিশালী টিম।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts