দানব ঘূর্ণিঝড়ের চোখের মধ্যে ঢুকে পড়ল বিমান, তারপর শুধুই আশ্চর্য
একটি দানব ঘূর্ণিঝড়। বলা হচ্ছে চলতি বছরের অন্যতম শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। তার চোখের মধ্যে ঢুকে পড়ল একটি বিমান। বাকিটা শুধুই আশ্চর্যের পালা।
ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। ক্রমে সেটি ভয়ংকর আকার ধারণ করে। ক্যাটাগরি ৫-এর আওতায় ফেলা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়কে। স্থলভাগে তার তাণ্ডবলীলা শুরুর আগে তার চোখের মধ্যে প্রবেশ করল একটি বিমান।
এটা তো সকলের জানা যে যেকোনও ঘূর্ণিঝড়ের একটি আই বা চোখ থাকে। যাকে কেন্দ্র করে পাক খেতে থাকে প্রচুর জলরাশি। সেই আই থাকে ঘূর্ণিঝড়ের একেবারে মাঝখানে।
তার মধ্যেই প্রবেশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিমান। ভুল করে নয়! বরং জেনে বুঝেই সেখানে প্রবেশ করা। এটা পরিস্কার হতে যে ঘূর্ণিঝড়ের আই-এর অবস্থাটা কেমন থাকে।
জামাইকার দিকে ধেয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় যা সেখানে হ্যারিকেন নামে পরিচিত, সেই হ্যারিকেন মেলিসা-র মত অতি শক্তিধর হ্যারিকেনের দক্ষিণ পূর্ব দিক দিয়ে তার চোখে ঢুকে পড়ে বিমানটি। সেখানকার ছবি তোলে।
যেখানে দেখা যায় একটি ফাঁকা জায়গা। যার চারধারে গোল করে রয়েছে জলরাশির দেওয়াল। এমন দেওয়াল যার উচ্চতা ধারনার বাইরে। চোখের ঠিক মাথা দিয়ে ভোরের সূর্যের আলতো আলো প্রবেশ করছে।
পুরো জলরাশির দেওয়াল ঝাপসা, ধুসর। দেখলে গা ছমছম করাই স্বাভাবিক। ক্রমে সেই পুরো চোখের অংশটি অতিক্রম করে বিমানটি উল্টো দিকের দেওয়াল ভেদ করে বেরিয়ে যায় চোখ থেকে।
একদিক দিয়ে হ্যারিকেনের চোখে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া। তার মাঝে বিমানটি যে ছবি তুলল, যা তথ্য সংগ্রহ করল তা আগামী দিনে ঘূর্ণিঝড়কে আরও ভাল করে চিনতে সাহায্য করবে বিজ্ঞানীদের। আর এই ছবি বহুদিন সাধারণ মানুষকে অবাক করতেই থাকবে।













