Feature

ভারতে একাধিক জায়গায় দোল খেলা একরকম নিষিদ্ধ, পিছনে রয়েছে কারণও

বসন্তে দোল উৎসব ভারতকে রাঙিয়ে দিয়ে যায়। বিশ্বের মানুষ ভারতকে রং খেলা দিয়েও চেনেন। সেই দেশেই এমন কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানে কখনও রং খেলা হয়না।

Published by
News Desk

বসন্ত এসে গেছে। বোঝা যায় শিমূলে পলাশে। বোঝা যায় কচি পাতার গায়ে পড়া রোদের চিকমিকিতে। বোঝা যায় দখিনা বাতাসে। আর বোঝা যায় রংয়ের উৎসবে। রংয়ের উৎসব দোল বা হোলি ভারতকে রাঙিয়ে দিয়ে যায়।

বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক হাজির হন ভারতের রং খেলা দেখতে, তাতে শামিল হতে। ভারতের প্রতিটি কোণা নিজের মত করে মেতে ওঠে রং খেলায়। কিন্তু এই ভারতেই এমন কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানে হোলি খেলা হয়না।

ঝাড়খণ্ডে চুটিয়ে রং খেলার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু সেখানেই বোকারোর দুর্গাপুর গ্রামের মানুষ রং খেলেন না। একসময় এখানকার রাজার পুত্র হোলির দিন প্রয়াত হয়। হোলির দিনই এই রাজারও প্রাণ যায়। সেই থেকে এই গ্রামে রং খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। এ গ্রামের মানুষ আর কখনও রংয়ের উৎসবে শামিল হননি।

গুজরাটে রং খেলার যথেষ্ট প্রচলন থাকলেও সে রাজ্যের রামসন গ্রামের মানুষ শত শত বছর ধরে রং খেলেন না। ওই গ্রামে কান পাতলে শোনা যায় এক কাহিনি।

কোনও এক সময় সেখানকার রাজার ব্যবহারে রুষ্ট হয়ে এক মুনি অভিশাপ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে এখানে রং খেলা সেই যে বন্ধ হয়েছে, তারপর আর কখনও এ গ্রামের মানুষ রং খেলেননি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেটা মেনেও চলে।

উত্তরাখণ্ডেও হোলি বেশ ধুমধাম করে পালিত হয়। কিন্তু এ রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগের কিলি ও কুরজান, এই ২টি গ্রামের মানুষ কখনও রং খেলেন না। এ গ্রামের আরাধ্য দেবী ত্রিপুরাসুন্দরী শোরগোল একদম পছন্দ করেননা। আর রং খেলায় তো কিছুটা শোরগোল হবেই।

তাই এই গ্রামের মানুষ শব্দ ঝংকার এড়াতে কখনও রং খেলায় শামিল হন না। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ুর মানুষ রং খেলা থেকে দূরে থাকেন। তাঁরা হোলির দিন পূর্বপুরুষকে স্মরণ করে তাঁদের জল দান করেন।

Share
Published by
News Desk