হোলির আগে বিকিকিনি, ছবি - আইএএনএস
দোল আর তার আগের রাতে নেড়াপোড়া। এ রীতি বহুকাল ধরে চলে আসছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নেড়াপোড়া পরিচিত হোলিকা দহন হিসাবে। এখন কিন্তু দোলের ধরনে ক্রমে পরিবর্তন আসছে। যেমন দোলে জল রংয়ের বাড়বাড়ন্ত কমছে। বাড়ছে আবিরের প্রচলন।
এখন বাজারে বহু রংয়ের আবির বিক্রি হয়। অন্যদিকে ভেষজ আবিরের দিকেও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ঝুঁকছেন অনেকে। যা তৈরি হচ্ছে প্রধানত ফুল থেকে। এরমধ্যেই দেশে বাড়ছে বৈদিক হোলির প্রবণতা।
গুজরাটের আমেদাবাদ শহরে এই বৈদিক দোলে উৎসাহ দিচ্ছে খোদ সে শহরের পুরসভা। সেখানে হোলিকা দহন সাড়ম্বরে পালিত হয়। এই হোলিকা দহনের জন্য পুরসভার গোশালাগুলিতে অনেকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছিল।
তৈরি হচ্ছিল গোবরের লাঠি এবং ঘুঁটে। যাতে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছিল নানা ভেষজ পাতা, কর্পূর এবং ঘি। এসবই হোলিকা দহনকে স্বাস্থ্যকর করে তোলার প্রচেষ্টা। সবুজ দোল পালনের চেষ্টা।
সবুজ দোল কারণ হোলিকা দহনে প্রধানত ব্যবহার হয় কাঠ। যা কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করে। বাতাসে ছড়ায় অস্বাস্থ্যকর ধোঁয়া। কিন্তু গোবর থেকে তৈরি লাঠি বা ঘুঁটে থেকে তৈরি ধোঁয়া অতটা অস্বাস্থ্যকর নয়।
তার সঙ্গে আবার ভেষজ পাতা, ঘি এবং কর্পূর মিশে তাকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। হোলিকা দহনের জ্বালানিতে যেমন স্বাস্থ্যের ছোঁয়া আনার চেষ্টা করেছে আমেদাবাদ পুরসভা, তেমনই তারা এবার রাস্তা খোঁড়ায় মানা করেছে।
এতদিন রাস্তা খুঁড়ে সেখানে গর্ত করে হোলিকা দহনের বন্দোবস্ত হত নানা পাড়া ও আবাসনে। কিন্তু তার জেরে রাস্তা খোঁড়া হত। রাস্তা নষ্ট হত।
এবার তাই পুরসভার পক্ষ থেকেই রাস্তা খুঁড়তে মানা করা হয়েছে এবং পুরসভার পক্ষ থেকেই হোলিকা দহনের জন্য বালি ও ইট দেওয়া হচ্ছে। এতে রীতি পালনও হবে। রাস্তাও বাঁচবে। আর অন্যদিকে ভেষজ মিশ্রণে তৈরি গোবরের লাঠি ও ঘুঁটে বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর করবেনা।