National

রঙয়ের ছোঁয়ায় রঙিন হল সাদা থান, রাঙা হাসিতে ছক ভাঙার আনন্দ

হোলির রঙ এবার লাগল মর্মে। সাদাকালো নিস্তরঙ্গ জীবনের সব একঘেয়েমি মুছে দিল এক বাঁধভাঙা উদ্যোগ। রাঙা হাসি বয়ে আনল বেঁচে থাকার বার্তা।

Published by
News Desk

হোলি উদযাপন হতে চলেছে দেশজুড়ে। ছক ভাঙা নানা রকম হোলি উদযাপন শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র ব্রজমণ্ডলের মন্দিরগুলিতেও এখন হোলির রঙ মিশছে। গত ২ বছর হোলি উদযাপন অনুষ্ঠান করা যায়নি। ফলে এ বছর যেন উৎসাহ কিছুটা হলেও বেশি।

গত ২ বছরে খানিক লাগাম পরায় এবার ফের ব্রজমণ্ডলের মন্দিরগুলিতে হোলির যে অনুষ্ঠান উদযাপিত হচ্ছে তাতে মাথায় রাখা হয়েছে এখানকার বাসিন্দা বিধবাদের দুর্দশার কথা। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পরে হোলি এবার বিজেপি সমর্থকদের আনন্দও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বৃন্দাবনে কয়েকশো বিধবার বসবাস। বেশিরভাগই বৃদ্ধা। বয়সের ভারে অশক্ত বিধবা মহিলাদের দিন কাটে এখানে খুব কষ্টে। সেই কষ্ট ভোলাতে এবার তাঁদের শামিল করা হয়েছে হোলি উদযাপনের অনুষ্ঠানে। এমনটা আজ থেকে কয়েক বছর আগেও ভাবা যেত না। বৃন্দাবনের স্বামীহারা এই মানুষগুলি সারা বছরই অবহেলায় জীবন কাটাতেন।

বিধবাদের কষ্ট নিরসনে এই পরিকল্পনার স্রষ্টা সমাজ সংস্কারক হিসাবে পরিচিত সুলভ ইন্টারন্যাশনালের জনক বিন্দেশ্বর পাঠক। সুলভ ইন্টারন্যাশনাল দুর্দশাগ্রস্ত বিধবাদের প্রতি সহমর্মী। তাদের আন্তরিক উদ্যোগে হোলিতে অবহেলিত বিধবাদের মুখে হাসি ফুটেছে।

ভারতে স্বামীহারা মহিলাদের সাদা রঙয়ের পোশাক পরাটাই রীতি। নারী জীবনের যন্ত্রণা এই রীতির ফেরে তীব্র আকার ধারণ করলেও বছরের পর বছর সেই যন্ত্রণা সইতে হয়েছে বৃন্দাবনে আশ্রিত একাকী মানুষগুলিকে।

বৃন্দাবনে আশ্রিত বিধবাদের অধিকাংশই বাঙালি। তাঁরা এবার ইতিমধ্যেই শুরু হওয়া ব্রজমণ্ডলের হোলিতে পরস্পরকে নানা রঙে রাঙিয়েছেন, একে অপরকে লক্ষ্য করে ফুলও ছুঁড়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk