হাসপাতাল, প্রতীকী ছবি
২৫ বছর খুব বেশি সময় নয়। ২০৫০ সালের মধ্যে ক্রমে বাড়তে থাকবে চিকিৎসার খরচ। সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনও বাড়বে। বাড়বে হাসপাতালের খরচ। হাসপাতালে শুধু ভর্তি হওয়া নয়, হাসপাতালে অনেক দিন ধরে থাকতেও হতে পারে।
কারণ চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি রূপ নেবে। এমনকি সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের গবেষণা দাবি করছে ক্রমে জীবনহানির ঘটনাও বাড়তে থাকবে। আর এই সবকিছুর জন্য দায়ী থাকবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ।
গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়ছে, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন রোগীরা, তাতে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্স অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরে তৈরি হচ্ছে।
মানবদেহে ক্রমশ বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতাকে রুখে দিতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়া ও সুপারবাগ। যার ফলে ক্রমে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা বন্ধ করে দেবে। তাতে অসুস্থতা দীর্ঘায়ত হবে। হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন বাড়বে।
চিকিৎসার খরচও সেক্ষেত্রে আরও অনেক বেড়ে যাবে। যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ওপর। তাঁদের পক্ষে চিকিৎসার খরচ টানা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে। আবার খরচ করতে পারলেও যে রোগী সুস্থ হবেন এমন কথা নেই।
সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের গবেষণালব্ধ ফলের ওপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্টান্স বা এএমআর-এর কারণে বিশ্বজুড়ে প্রাণ যাওয়ার ঘটনা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে ২০৫০ সালের মধ্যে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা