গ্রীষ্মকাল, প্রতীকী ছবি
ভারত বা তার প্রতিবেশি দেশের গরম সম্বন্ধে ধারনা অনেকেরই রয়েছে। এমনকি বিদেশেও এখন গরম বাড়ছে। গরমে সবচেয়ে বড় সমস্যা ডিহাইড্রেশন। শরীর শুকিয়ে যাওয়া। ঘামের জেরে শরীরের অনেকটা জল বেরিয়ে যাওয়া।
এ থেকে বাঁচতে অনেকেই রাস্তার ধারে কোল্ড ড্রিংকসে চুমুক দেন। কিন্তু তা হিতে বিপরীত করে। শরীরকে আরও ডিহাইড্রেট করে।
এই ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে এবং শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষজ্ঞেরা এবং চিকিৎসকেরা কিন্তু রাস্তার ধারের একটি সহজলভ্য পানীয়ে ভরসা রাখছেন।
সারাবছরই প্রায় রাস্তায়, বাজারে ডাব দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞেরা এই ডাবের জলের ওপরেই গরমে শরীরকে সঠিকভাবে আর্দ্র রাখতে ভরসা করছেন।
ডাবের জল শরীরকে খুব দ্রুত হাইড্রেট করতে পারে। ঘামের ফলে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া জলের ভারসাম্য ফিরিয়ে দেয় ডাবের জল।
ডাবের জল গরমের ফলে শরীরে তৈরি হওয়া স্ট্রেস কমাতেও দারুণ কার্যকরী। শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্যও রক্ষা করে ডাবের জল। ডাবের জলে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। যা ইলেক্ট্রোলাইটের কাজ করে।
ডাবের জলে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকে। যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা থাকে সেখানকার মানুষকে সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞেরা চোখ বন্ধ করে ভরসা করছেন ডাবের জলে। সহজ কথায় গরমকে পরাস্ত করতে ডাবের জলের বিকল্প কিছু নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা