থার্মোমিটার, প্রতীকী ছবি
হালকা জ্বর হলে তা শরীরের পক্ষে ভাল। কারণ যে সংক্রমণ শরীরে থাকে তা এতে দ্রুত নিরাময় হয়। অনেক ক্ষেত্রে ওষুধের দরকার পড়েনা। ওষুধ খাওয়ার চেয়ে এটা অনেক ভাল।
শরীর নিজের মত করে সংক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানাচ্ছেন, দেখা গেছে হালকা জ্বরে ওষুধ ব্যবহার না করলে মাছের মত প্রাণিরও শরীর থেকে দ্রুত সংক্রমণ বেরিয়ে যায়। হালকা জ্বর বরং এক্ষেত্রে সুস্থ করে তোলার কাজ করে। তাও দ্রুত।
গবেষকদের দাবি, হালকা জ্বর থাকলে যে কোনও প্রাণির দেহ কেবল সংক্রমণকে প্রতিহতই করেনা, তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। হালকা জ্বর প্রদাহ রুখে দিতেও দারুণ কার্যকরী। এমনকি শরীরের টিস্যুগুলিকেও সারিয়ে তোলে হালকা জ্বর।
এই হালকা জ্বরে ওষুধ ছাড়াই সুস্থ হওয়ার বিষয়টি কি মানবদেহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে? গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সেটা এখনও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
তবে অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, যে কোনও প্রাণির সেরে ওঠার পদ্ধতিটা একই। তাই তা মানবদেহও একইভাবে কার্যকরী হবে।
হালকা জ্বর আদপে এক ওষুধেরই কাজ করে দেবে। বাইরে থেকে ওষুধ দেওয়ার দরকার পড়বে না। তাই এক্ষেত্রে একটা কথাই সামনে আসছে, হালকা জ্বর হলেই যে টপ করে একটি ওষুধ মুখে পুরে দিতে হবে এমনটার প্রয়োজন হয়তো নেই। বরং স্বাভাবিক নিয়মে তা সারার দিকেই নজর দেওয়া ভাল। অন্তত এমনই মনে করছেন গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা