উর্টিক্যারিয়া, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
মূলত পুরুষদের মধ্যেই এই রোগের প্রবণতা বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন ২০ শতাংশ পুরুষ জীবনের কোনও একটা সময় এই রোগে আক্রান্ত হন। অর্থাৎ প্রতি ৫ জনে ১ জন পুরুষকে জীবনে এই রোগের শিকার হতে হয়।
এই রোগে শরীরের এক বা একাধিক জায়গায় লাল বা চামড়ার মত রংয়ের উঁচু মত একটি চামড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এতে আক্রান্ত অংশ একটু উঁচু মত হয়ে থাকে। মাঝেমাঝেই চুলকায়। কখনও বেশি কখনও কম।
এই চামড়ার সমস্যা ২ ধরনের হয়ে থাকে। একটি স্বল্পমেয়াদী, অন্যটি দীর্ঘমেয়াদি। প্রধানত ১ বছরের মধ্যে সেরে গেলে তা স্বল্পমেয়াদী বলেই মনে করা হয়। আর দীর্ঘ মেয়াদি হলে দীর্ঘদিন ধরে তা শরীরে হয়ে থাকে। যা চুলকানোর পাশাপাশি দৃষ্টিকটুও।
চিকিৎসকেরা এই সমস্যাকে এক ধরনের চামড়ার ডিসঅর্ডার বা অনবস্থা বলে মনে করেন। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগ প্রাণঘাতী একেবারেই নয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তেমন কিছু নেই।
অর্থাৎ এই রোগ হলে শরীরে অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা একদম নেই এমন নয়, তবে কম। তবে এই রোগ হলে একটা অস্বস্তি থাকে।
আবার কারও যদি তা ঠোঁট বা গলায় হয় তাহলে অনেক সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তাছাড়া সমস্যা শরীরের যেখানেই হোক একবার তা চর্ম বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নেওয়া উচিত। এই রোগকে উর্টিক্যারিয়া বলা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা