সিলি ওয়াকস, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @Edmond Wells
সালটা ১৯৭১, সে সময় পর্দায় এক আজব হাঁটা দেখে হেসে লুটিয়ে পড়েছিলেন দর্শকরা। মিনিস্ট্রি অফ সিলি ওয়াকস হাঁটতে হাঁটতে মানুষের পেটে খিল ধরিয়ে ছেড়েছিল। যেখানে অদ্ভুতভাবে হাঁটতে দেখা যেত অভিনেতাদের। সেটাই ছিল কাহিনির মূল মজা।
এখনও সেভাবে কেউ যদি পথেঘাটে হাঁটার চেষ্টা করেন তবে হয় তাঁকে পাগল ভাবা হবে, নয়তো তাঁকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা হবে। ভিড়ও জমে যেতে পারে এমন হাঁটা দেখে।
এই হাঁটায় পা অনেক উঁচুতে তুলে ফেলা, টেরাবাঁকা ভাবে ফেলা, পা-কে বিভিন্নভাবে বেঁকিয়ে ফেলা, সবই চলে। যাকে মজা করে বলা হয় টি ব্যাগ স্টাইল ওয়াক। হতে পারে এমনভাবে কাউকে হাঁটতে দেখলে মানুষ হেসে খুন হবেন। কিন্তু গবেষকরা তা মনে করছেননা।
মার্কিন গবেষকেরা দেখেছেন এই টি ব্যাগ স্টাইল হাঁটা কিন্তু অনেক ঘাম ঝরানো ব্যায়ামের চেয়েও উপকারি। দিনে যদি একজন ১১ মিনিট করে এই হাস্যকর হাঁটা হাঁটতে পারেন তবে তাঁর ক্যালোরি পুড়বে। খুব ভাল থাকবে হৃদযন্ত্র। হৃদযন্ত্র ভালভাবে কাজ করতে পারবে।
গবেষণার সময় স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথম ধাপে সাধারণ হাঁটা হাঁটতে বলা হয়। কত গতিতে হাঁটবেন তাও নিজেদের মতই করতে বলা হয়।
পরের ধাপে ২টি পরপর ট্রায়ালে তাঁদের এবার বিভিন্নভাবে পা ফেলে হাঁটতে বলা হয়। যতটা তাঁদের পক্ষে সম্ভব। এজন্য তাঁদের সেই ১৯৭১-এর ভিডিও দেখানো হয়। যাতে তাঁরা বিষয়টি দেখে সেইমত পা ফেলার চেষ্টা করতে পারেন।
এই একটু নিচু হয়ে কয়েক পা ফেলা, তারপর পা ছোঁড়া, তারপর পা-কে বিভিন্নভাবে বেঁকিয়ে ফেলা, এভাবে টি ব্যাগ ওয়াক কিন্তু ট্রায়ালে উপকারি হিসাবে প্রমাণিত হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা