ফাইল : কলকাতার একটি স্কুলে টিকাকরণ, ছবি - আইএএনএস
ভারতে করোনার প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সে স্মৃতি এখনও তাজা। একটা আতঙ্ক গ্রাস করেছিল মানুষকে।
তৃতীয় ঢেউতেও গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ভারত জুড়ে হুহু করে বেড়েছে সংক্রমণ। বিশেষত জানুয়ারিতে সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়েছে।
কিন্তু তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মত মৃত্যু থাবা বসাতে পারেনি। এসবিআই-এর করা একটি সমীক্ষা বলছে এর পিছনে লুকিয়ে আছে একটি বিশেষ কারণ।
সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতে করোনা প্রতিষেধক টিকাকরণ কমপক্ষে ৯৩ হাজার প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়েছে তৃতীয় ঢেউতে।
প্রসঙ্গত তৃতীয় ঢেউতে এখনও পর্যন্ত ১৪ হাজার ৭৫৬টি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তা অবশ্যই ১ লক্ষের ওপর হত যদি না টিকাকরণ এতটা বৃহত্তর পর্যায়ে দেওয়া যেত বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। টিকার জোরেই এই প্রাণ রক্ষা বলে জানিয়েছেন পরিসংখ্যানবিদরা।
সমীক্ষাটি করা হয়েছে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। ভারতের ২০টি রাজ্য থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তারপর তা সমীক্ষার একটি বিশেষ মডেলে ফেলে পরীক্ষাটি করা হয়। তাতেই দেখা গেছে এই ৩৫ দিনে কমপক্ষে ৯৩ হাজার মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে করোনা প্রতিষেধক টিকা।
প্রসঙ্গত গত রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ভারত এখন টিকাগ্রহণে সক্ষম মানুষের ৭৫ শতাংশকে টিকার ২টি করে ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা