টাইগার শার্ক, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
সমুদ্রে এক ত্রাসের নাম হাঙর। বহু মানুষের জীবন কেড়েছে এই অতিকায় মৎস্য। যার তীক্ষ্ণ দাঁত আর শক্ত চোয়াল বহু মানুষের অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। জীবন কেড়ে নিয়েছে।
এখনও কোথাও সমুদ্রের ধারের কাছাকাছিও হাঙরের দেখা মিললে তখনই সেই বিচে সমুদ্রে নামা নিষেধ করা হয়। সেই সমুদ্রের আতঙ্ক এখন করোনা তাড়াতে মানুষের বড় ভরসা হতে পারে।
এতদিন যে মানুষের প্রাণ কেড়েছে, তা এবার মানুষের জীবনরক্ষা করতে চলেছে। অন্তত তেমনই দাবি করছেন মার্কিন মুলুকের উইসকনসিন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, হাঙরের দেহে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে সেখানে একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিন থাকে। ভিএনএআর নামে ওই প্রোটিন মানুষের অ্যান্টিবডির চেয়ে ১০ গুণ ছোট।
এই ভিএনএআর প্রোটিন কিন্তু করোনার বিভিন্ন ধরনের প্রকার থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে। কারণ এই প্রোটিন সংক্রমিত প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার সংক্রমণ রুখে দিতে পারে।
হাঙরের প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে এই যদি ওষুধ তৈরি করা যায় তাহলে তা সস্তা হবে বলেও জানিয়েছেন গবেষকেরা। তবে এই পুরো প্রক্রিয়া গবেষণাগারে প্রমাণিত হলেও তা মানবদেহে এখনও প্রয়োগ করে দেখা হয়নি।
সেই পরীক্ষা হয়ে যদি তা সফল হয় তাহলে হাঙর কিন্তু মানুষকে করোনা আতঙ্ক থেকে মুক্তির রাস্তা খুলে দিতে পারে। যা অবশ্যই মানবসভ্যতার জন্য এক বড় প্রাপ্তি হয়ে থেকে যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা