রক্তকণিকা, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
করোনা হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এঁদের মধ্যে কেউ উপসর্গ যুক্ত। আবার কেউ উপসর্গহীন। উপসর্গ যুক্তদের ক্ষেত্রে তাঁরা পরীক্ষার রাস্তায় হেঁটে জেনেছেন তাঁরা পজিটিভ। আর উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রে পরীক্ষা হলেই জানা গেছে যে তিনি আক্রান্ত।
এই উপসর্গহীন এবং উপসর্গ যুক্ত করোনা সংক্রমিতদের বেশ কয়েকজনকে গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে বেছে নেওয়া হয়। তাঁরা সে সময় করোনা সংক্রমণের শিকার ছিলেন। তারপর তাঁরা করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
গবেষকরা এরপর তাঁদের মে মাসে রক্ত পরীক্ষা করেন এটা দেখার জন্য যে তাঁদের দেহে তৈরি হওয়া করোনার অ্যান্টিবডি কতটা রয়েছে। সেখানে অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়।
এরপর আবার তাঁদের নভেম্বরে পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় তখনও তাঁদের দেহে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি রয়েছে। যদিও তা মে মাস থেকে নভেম্বরের মধ্যে কমেছে। কিন্তু দেহে রয়ে গিয়েছে অ্যান্টিবডি। যা থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা।
ইতালির পাডুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ লন্ডনের যৌথ উদ্যোগে হওয়া এই গবেষণার পর গবেষকরা জানাচ্ছেন যে তাঁরা দেখেছেন একবার করোনা হলে মানবদেহে ৯ মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডি থেকে যায়।
আর তা কার করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেশি ছিল, কার কম ছিল বা কার উপসর্গ ছিলই না তার ওপর নির্ভর করে না। সকলের ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডি ৯ মাস থেকে যাচ্ছে।
তবে গবেষকরা এটাও জানিয়েছেন যে ভৌগলিক অবস্থান ও সেখানে পরীক্ষা পদ্ধতির ওপর নির্ভর করবে মানবদেহে অ্যান্টিবডি লেভেল কতটা থাকবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা