নারী, প্রতীকী ছবি
নিউ ইয়র্ক : সারাদিন পরিশ্রম করে বাড়ি এসে আর শরীর বইতে চায় না এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের। নানা ব্যাধি থেকে ক্লান্তি ঘিরে ধরে শরীরকে। প্রচণ্ড চাপে সৃষ্টি হয় মানসিক অবসাদ। এসব যখন তাঁদের বাবা, মা বা দাদু ঠাকুমাদের চোখে পড়ে তখন তাঁদের কাছ থেকে একটা কথাই শোনা যায়। কম বয়সে তাঁরা এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের তুলনায় দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে পারতেন। সহজে কাহিল হতেন না। এই প্রচ্ছন্ন গর্বের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক মারাত্মক সত্যি। সেই সত্যি প্রকাশ পেল আমেরিকান জার্নাল অফ এপিডেমিওলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে।
এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে জেনারেশন এক্স অর্থাৎ যাঁদের জন্ম ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে ও জেনারেশন ওয়াই অর্থাৎ যাঁদের জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৯-এর মধ্যে তাঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য খুবই উদ্বেগজনক ভাবে ভেঙ্গে পড়ছে দিন দিন। দেখা দিচ্ছে জটিল অসুখ। যা তাঁদের আগের প্রজন্মের মানুষদের অল্পবয়সে দেখা যায়নি। তাঁদের বাবা মায়েদের বা দাদু ঠাকুমাদের স্বাস্থ্য সাধারণত তাঁদের মত বয়সে অনেক বেশি ভালো ছিল বলেই উল্লেখ করা হয়েছে এই গবেষণাপত্রে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির হুই জেং জানিয়েছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন চর্চা, মদ্যপান ও ধূমপানের মত অভ্যাস, চিন্তা ও মানসিক চাপ, এইসব কারণগুলিই এই ২ প্রজন্মের স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ।
জেং আশঙ্কা করেছেন যদি এভাবেই এই প্রজন্মের মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে তাহলে এই মানুষগুলি যখন বার্ধক্যের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়াবেন তখন তাঁদের মধ্যে অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার অনেক বেশি মাত্রায় দেখা যাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্স ও ওয়াই প্রজন্মের মানুষের ওপর দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে এই উদ্বেগজনক তথ্যটি উঠে এসেছে। হুই জেং জানিয়েছেন কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা এই প্রজন্মের মানুষদের মধ্যে বেশি মাত্রায় ধরা পড়েছে। যা উদ্বেগের কারণ হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা